কৃষ্ণচন্দ্রীয় যুগ—জয়নারায়ণ সেন–জন্ম ১৮শ শতাব্দীর পূর্বাৰ্দ্ধ। ১৫১১ মুনেত্রী যে চান্দে পূৰ্ব্বে মুদিছে নয়ন । এখনে সে শশী হেরি প্রসন্ন-বদন ॥ (১) ভুবন কুসুমাকীর্ণ তাহে পিক মাতি । ডালে ডালে উড়ি ডাকে তাহে মোহে সতী ॥ রতির সন্তাপ শুনি মধুকরগণ। পুষ্পবন দেখি করে আনন্দ-কীৰ্ত্তন ॥ পূৰ্ব্বে যে কুসুম ছিল কণ্টক-সমান। ছিল যে কোকিল-নাদে বজ্রপাত-জ্ঞান ॥ এবে সে সকলে পরমাম্বলাদিত মন। আর শুনি শুনি হেন মনের জল্পন ॥ (২) মহেশ আখির জালে মদন জালিয়া । ভ্রময়ে সকল দেশ অস্থির হইয়া ॥ যে দিকে ফিরায় আখি তাহাতে অনঙ্গ । বিচারিয়া (৩) ফিরে রতি বায়ুসখা-সঙ্গ ॥ ওড়ে নবপল্লব-পতাকা দশদিশে । পুনঃ পঞ্চসায়ক কি সাজিছে মহেশে ॥ রসাল রথেতে নব পতাকা বান্ধিয়া । সাজিছে প্রচুর বাণ ফুলের লইয়া ॥ বিষম সারথি তাহে আনি বসন্ত । যুড়িছে চঞ্চল অশ্ব পবন দুরন্ত ॥ মহাভয় হয়রাপ হেরিয়া ভুবন। বাণে হানে যার পানে পড়য়ে নয়ন ॥ সচন্দ্রিকাময় নিশি রসের বর্দ্ধক । রসময় দম্পতির তাপ-বিমৰ্দ্দক ॥ নিৰ্ম্মল আকাশ যেন রসিক-হৃদয় । বিরল নক্ষত্র তাহে রস-বাক্যময় ॥ দেখিতে আনন্দ অতি বাঢ়ে পলে পলে। প্রেম-পুঞ্জ চান্দ যাহে ঝলমল জলে ॥ হেন নিশি হেরি শশি-মুখী হাসি হাসি। পতি সম্বোধিয়া কহে ঘনাইয়া বসি ॥ (১) যে চন্দ্ৰ দেখিয়া মুনেত্রী চক্ষু মুদিত করিয়াছিলেন, এখন তাহ দেখিয়া প্রসন্নমুখী। (২) মনের ইচ্ছা—এই সমস্ত আরও যেন শুনিতে পাই । (৩) খুজিয়া ।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।