প্রাচীন সঙ্গীত–রামনিধি গুপ্ত—১৭৩৮-১৮২৫ খৃঃ । (t8లి ( ১৩ ) নয়ন শীতল হয় দেখিলে যাহারে। দেখ দেখি কত সাধ দেখিতে তাহারে ॥ চক্রবাক চক্রবাকী দিবসে একত্র দেখি তাহারা অধিক সুখী বুঝিলো বিচারে ॥ ( >8 ) বিধুমুখে মৃদু হাসি ভালবাসি প্রাণ। বিষাদে প্রমাদ হয় কাতর নয়ন ॥ অধীনী জনেরে কেন কর এত অভিমান তুষিতে উচিত তারে এই ত বিধান ॥ ( > t ) নানান দেশে নানান ভাষা। বিনে স্বদেশীয় ভাষা পুরে কি আশা ॥ কত নদী সরোবর কিবা ফল চাতকীর ধারা-জল বিনে কতু ঘুচে কি তৃষা ৷ ( ১৬ ) সাধিলে করিব মান কত মনে করি । দেখিলে তাহার মুখ তখনি পাসরি ॥ মান করি কহে আখি, আর না হইবে সুখী, দরশনে হয় পুনঃ অধীন তাহারি ॥ ( ১৭ ) না হতে পতন তরু দহন হইল আগে । আমার এ অনুতাপ তারে যেন নাহি লাগে ॥ চিতে চিতা সাজাইয়ে, তাহে দুঃখ তৃণ দিয়ে, আপনি হইব দগ্ধ আপনারি অনুরাগে ॥ ( ১৮ ) তোমারই তুলনা তুমিই প্রাণ এ মহীমণ্ডলে। আকাশের পূর্ণশশী সেও কান্দে কলঙ্ক-চ্ছলে । সৌরভে গরবে, কে তব তুলনা হবে, আপনি আপন সম্ভবে, যেমন গঙ্গাপূজা গঙ্গাজলে ৷
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।