(tు বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । মা অসাধ্য তোমার সাধন, ক’রলে সাধন, কেবল তার নিধন হ’তে হয়। একবার তারা বলে যে ডেকেছে, সেই ডুবেছে, তারা তোমার ধারণত মায়ের ধারা নয় ॥ মা রাবণ-রাজা অন্তিমকালে, রঘুনাথের রণস্থলে, দুর্গ ব’লে ডেকেছিল বদনে। তবু তার পানে ফিরে চাইলি নে, তার দুঃখ ভাবলিনে, তারে ধ্বংস ক’রে ভগবতি, নিদয় হলি ভক্তের প্রতি, শেষকালে তার বংশে বাতি দিতেও কারে রাখলি নে ॥ আগে ছিল না তার কোন শঙ্কা, বাজাতো জয়কালীর ডঙ্কা—অতি তেজ-ডঙ্কা, আবার ছল ক’রে তার সোণার লঙ্ক দগ্ধ করে এসেছ ৷ গদাধর মুখোপাধ্যায়ের গান। পুরবাসী বলে—উমার মা, তোর হারা তারা এল ঐ । শুনে পাগলিনী প্রায় অমনি রাণী ধায় বলে কৈ মা উমা কৈ ॥ কেঁদে রাণী বলে, আমার উমা এলে, একবার আয় মা একবার আয় মা একবার আয় মা করি কোলে । অমনি দুবাহু পসারি মায়ের গলা ধরি অভিমানে কেন্দে রাণীরে বলে ॥ কৈ মেয়ে বলে আনতে গিয়েছিলে, তোমার পাষাণ প্রাণ, আমার পিতাও পাষাণ, জেনে এলাম আপনা হতে, গেলে নাকে নিতে, রব না গো যাব দুদিন গেলে । পরের ঘরে মেয়ে দিয়ে মা মায়া কি পাসরি, কৈলাসেতে বলে আমায় সবাই,
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।