る(rb"3 বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । তুমি অগতির গতি, তোমা বিনে গতি, নাহি অন্ত গতি, ভারত-ভূমি। কর যা ইচ্ছা তোমার, রাখ কিম্বা মার, দাস গোবিন্দ তোমার, তুমি হে স্বামী ॥ ( ७ ) ভৈরবী—মধ্যমান। দেগো বৃন্দে আমারে যোগী সাজায়ে। সৰ্ব্ব-ত্যাগী হব আমি শ্রীরাধার মানের দায়ে। এই লওগো গুঞ্জাহার, কুঞ্জে না রহিব আর, কাশীবাসই অঙ্গীকার, কায কি বাঁশী বাজায়ে ॥ এই লওগো পীতাম্বর, পরায়ে দেও বাঘাম্বর, ভজিব ভব দিগম্বর, মানদণ্ডে দণ্ডী হয়ে ॥ ত্যজে বাজুবন্ধ বালা, ঘুচাইব সকল জালা, লহ বনমালা, দেহ অস্থিমালা পরায়ে ॥ দেশে না রাখিব দ্বেষ, ত্যজিব নাগরীলী-বেশ, ধরিয়ে চাচর কেশ, দেও জটা বিনায়ে ॥ ভালবাস ভালবাসি, ভালবাসে ব্ৰজবাসী, এই লওগো চুড়া-বাশী, দেও যমুনায় ভাসায়ে । অৰ্দ্ধচন্দ্র দেও আনি, শিরে ধরি স্বরধুনী, চন্দন ঘুচায়ে ধনি, দেও বিভূতি মাখায়ে। আর কিছু নাহি অপিক্ষে, মননে করিয়ে শিক্ষে, রাই-মান করিব ভিক্ষে, শিঙ্গে ডম্বুর বাজায়ে ॥ ( , ) ভৈরবী—একতালা । সখি কে তারে বলে গো কাল । ও যার রূপ মনোহর, হেরি দিগম্বর, শ্মশানবাসী হয়ে আছেন চিরকাল ॥ কালারই কামনা করি চিরকাল, জন্মে জন্মে যেন পাই সেই কাল, কালারই ভজনে নাহি কালাকাল, ভজিলে সে কাল তরি পরকাল ॥
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।