(tb-8 শুক বলে, শারী বলে, শুক বলে, শারী বলে, শুক বলে, শুক বলে, শারী বলে, শুক বলে, শারী বলে, বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । আমার কৃষ্ণের কদমতলায় থানা। আমার রাধা করে আনাগোনা,— নৈলে যেত জান ॥ আমার কৃষ্ণ জগতের কালো । আমার রাধার রূপে জগৎ আলো,— নৈলে আঁধার কালো ॥ আমার কৃষ্ণের শ্রীরাধিক দাসী। সত্য বটে সাক্ষী আছে বঁাশী,— নৈলে হত কাশীবাসী ॥ আমার কৃষ্ণ করে বরিষণ । আমার রাধা স্থগিত পবন,— সে যে স্থির পবন ॥ আমার কৃষ্ণ জগতের প্রাণ । আমার রাধা জীবন করে দান,— থাকে কি আপনি প্রাণ ॥ শুক শারী দুজনার দ্বন্দ্ব ঘুচে গেল। রাধা-কৃষ্ণের প্রতে একবার হরি হরি বল,— হেরিয়ে উৎকণ্ঠ রাধার হ’লে কণ্ঠশ্বাস, নৈরাশ হেরি জীবনে, জীবনের নাই আশ, মুমু লক্ষণ দেখি, কেবল জীবন যেতে বাকী, ব’লে বৃন্দাবনে চল ॥ ( ১৩ ) ঢপের মুর। হরি, এই দেখ কমলে। কমলিনী পড়ে স্থল-জলে ॥ জলেতে না জুড়ায় জীবন, জলে আরো দ্বিগুণ জলে ॥ বলিতে আমার অন্তর জলে, রাই রয়েছে অন্তর্জলে, এলে যদি অন্তকালে, বাজাও বঁাশী রাধা বলে ॥ রাধার স্থির হয়েছে কমল-আঁখি, আছে তোমায় দেখুবে বলে।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।