প্রাচীন সঙ্গীত-কৃষ্ণকমল গোস্বামী—জন্ম ১৮১০ খৃঃ। (ను) রাগিণী—মনোহরসাহি, তাল—লোভা । সখি ! শুম-প্রেম-সুখ-সাগরে, সদা আমি মনের মত ডুবে রইতাম । তখন আমি দুঃখের বেদন জানতাম না গে। ভাবতাম এ সাগর কি শুকাইবে ; আমার এমনি ভাবে জনম যাবে। –এই বৃন্দাবন-মাঝে– যখন উঠিত মানের তরঙ্গ, তখন কতই বাড়িত রঙ্গ । —বধুর মনে, আমার মনে— তাল—খয়রা । ছিল প্রখর মুখর দুর্জন-নিকর, শরদ-ভাস্কর-প্রায় গো ;–(তখন কতই বা ছিল)– হ’য়ে প্রবল-প্রতাপ, সদাই দিত তাপ, লা’গত না সে তাপ গায় গো –(কত জ্বালাইত)– তাল—লোভা ৷ তখন শুাম-নব-জলধরে, সদা থাকৃত শীতল ছায়া ক’রে । । —(তাদের সে তাপ লাগবে কেন)– সে যে লীলামৃত বরষিয়ে, আমার জুড়াইত তাপিত হিয়ে। তাল—খয়রা । ছিল প্রেম-বিবাদিনী পাপ-ননদিনী, o কুম্ভীরিণীর মত ফি’ৰ্বত ;–(সে সাগরের মাঝে)– সদা থাকৃত তাকে বাকে, দে’খত তা’কে বাকে, আপনি বিপাকে পড়ত।—(পাপ-ননদিনী)– তাল—লোভা। আমি ভাসিয়ে বেড়াতাম সখি, একবার চাইতাম না পালটি আঁখি। —(পাপ-ননদিনীর পানে)–
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।