&నb* বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । —( অতি মনোহ্লখে গো )– দেখে বৃন্দাবনের কুহ, পিকগণ না বলে কুহু, উহু । উহু । দেখে বাজে বুকে। –(বুক ফেটে যায় গো,—বৃন্দাবনের দশ দেখে )– সকল দেখি শোকার্তা, দেহে যেন নাহি আত্মা, বধুর বার্তা করে বা সুধাব। –(সকলেরই আমার দশা গো )— দেখ বংশীবট ঐ, চল যাই তার নিকট সই, দুঃখ কই, তবে বুঝি পাব। বিশাখা। ভাল, চল সই। ( সকলের বংশীবট-নিকটে গমন ) রাধিকা । ( মুরে ) শুন শুন বৃক্ষরাজ ! বল কোথা রসরাজ ? না হে’রে গোবিন্দে, মরে গোপীবৃন্দে, একবার দেখাও দেখাও সে মুখারবিন্দে। রাগিণী—সুরট, তাল—আড়াঠেকা । ওহে ! বল বল বংশীবট ! কোথা শঠ-শিরোমণি সে রমণী-লম্পট ? তুমি ত সুবংশী বট,— নহ ত সামান্ত বট, আমা সবার মান্ত বট ; তোমার ছায়াতে বসি, বাজায় বঁাশী কালশশী, তাতেই তুমি নাম ধরেছ বংশীবট ; কাননে প্রশংসী বট, কৃষ্ণপ্রেমের অংশী বট । তাল—খয়রা । ওহে তমাল, তাল, হিন্তাল, ধব ; রসাল, শাল, শিংশপ হে ! বলি শুন হে সরল ! তুমি ত সরল, বল বল, কোথা কেশব হে ? —( যদি দেখে থাক, ব’লে দেও হে )– তোমরা তীর্থবাসী পর-হিতকর, এ বিপদে মোদের পর হিত কর ; বল, কোথা আছে ব্ৰজশীতকর— —গোপী-চকোর-নিকর-বল্লভ হে ?
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।