>&е о বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । তাল—খয়রা । এই কদম্বের মূলে, নিয়ে গোপকুলে, চাদের হাট মিলাইত গো ; —( সে রূপ মনে জাগিল, এই বনে এসে )— কৰ্ভু প্রিয় সখার অঙ্গে, হেলায়ে শ্ৰীঅঙ্গে, ত্রিভঙ্গ হয়ে দাড়াত গো –( বঁধু কতই রঙ্গে – যত সহচরদলে, ফুলে ফলে দলে, কি কৌশলে সাজাইত গো ; তখন সে মুরলীধরে, সে মুরলী ধরে, নাম ধ’রে বাজাইত গো ;–(অভাগিনী রাধার)– তাল—দশকুশি। তখন শুনিয়ে মুরলী-ধ্বনি, আমি হ’তাম্ যেন পাগলিনী, পথ বিপথ নাহি জানি ;– —(অমনি বের হতাম গো, সখি, বঁধুর লাগি )— সখি, চলিতে চরণে কত, বিষধর বেড়িত, মণিময় নুপুর মানি। —ফিরে চাইতাম না গো চরণ-পানে— তাল—লোভা । আমি আসিতাম বঁাশীর টানে, তখন কেবা চাইত পথ-পানে —মনের কতই বা মুখে। তাল—খয়রা। একদিন চম্পকের ফুল, হেরিয়ে ব্যাকুল, হইল গোকুল-শশী গো ; অমনি “কোথা রাধা” ব’লে, পড়িল ভূতলে, ধরিল সুবল আসি গো –(হায়! কি হ’ল ব’লে)– সে যে দেখে অচেতন করিল যতন, চেতন যদি না হ’ল গো ; . তখন বঁধুর সে বোল, যাইয়ে সুবল, সকাতরে জানাইল গো –(আমায় কেঁদে কেঁদে)–
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।