(৪)
আড়খেম্টা।
এস যাদু আমার বাড়ী,
তোমায় দিব ভাল বাসা।
যে আশায় এসেছ যাদু পূর্ণ হবে মন-আশা॥
আমার নাম হীরে মালিনী,
কড়ে রাঁড়ী নাইকো স্বামী,
ভালবাসেন রাজনন্দিনী,
করি রাজ-মহলে যাওয়া-আসা॥
(৫)
কালেঙড়া—কাওয়ালী।
সোহাগের হার গাঁথা আমার,—
এত ফুল গাঁথা নয় মাসি।
ছল ক’রে মন বুঝবো,—
কেমন রসিকা সে রূপসী॥
কষ্টি হলে জানা যায়, সোণার কস লাগে তায়,
ভেড়ার শৃঙ্গে হীরার ধার কতক্ষণ রয়,
তাই ভাবি আমি আগে, পাছে কিছু হয়,
বিচ্ছেদ হলে জানা যায়, ভাল-বাসা-বাসি॥
(৬)
খেম্টা।
এমন সাধ্য আছে কার।
সাগর ছেঁচে মাণিক এনে হাতে দেয় তোমার॥
অজাগরের নিদ্রা যেমন,
তোমার তেমনি পণাপণ,
অপার নদী সাঁতরে যেন হতে চাও লো পার॥
(৭)
বারোঙা—ঠুংরী।
অধরে অঞ্চল ঝাঁপিয়ে, আজ কেন হে প্রিয়ে।
আখি-রবি প্রকাশিত, মুখ-কমল মুদিত,
শশী যেন রাহুগ্রস্ত, আছ বসিয়ে॥
ক্ষুধিত চকোরে, বঞ্চনা ক’রে,
আছ ধনি মান-ভরে, সুধা নাহি বরষিয়ে॥