পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহুজিছা সাহিত্য । চণ্ডিদাসের কবিতায় সহজিয়াদের মত কতক প্রদর্শিত হইয়াছে। কৃষ্ণদাস কবিরাজ ও স্বরূপ প্রভৃতির নামে সহজিয়া-মত-সম্বলিত কতকগুলি পুস্তক প্রচলিত আছে। আমরা ১৭শ শতাব্দীর শেষভাগ হইতে ১৯শ শতাব্দীর মধ্যভাগের হস্তলিখিত এইরূপ বহুসংখ্যক পুস্তক পাইয়াছি। যে সকল বড় গ্রন্থকার ও সাধু ব্যক্তির প্রতি ঐ সকল পুস্তক আরোপ করা হইয়াছে, তাহারা সে গুলি লেখেন নাই বলিয়া অনেক বৈষ্ণব ঘোষণা করেন। এরূপ অবস্থায় আমরা সেগুলি হইতে কিছু উদ্ধৃত করিলাম না। এই সহজ-তত্ত্ব-প্রচারক গ্রন্থগুলির ভাষা ও ভাব অনেক স্থলে দুৰ্ব্বোধ। বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে উদ্ধৃত চণ্ডিদাসের গদ্য-রচনার নমুনা এই শ্রেণীর লেখা—তাহার অর্থ কিছুই বুঝিতে পারা যায় না । @ জ্ঞানাদি-সাধন । সহজিয়া-সাহিত্য—১৭৫২ খৃঃ । [ গ্রন্থকারের নাম নাই ; ১৭৫০ খৃষ্টাব্দের (১১৫৮ বাংলা সনের) হস্তলিখিত পুথি হইতে নিম্ন-প্রদত্ত অংশ নকল করা গেল। এই পুস্তকে জীবের জন্ম-সম্বন্ধে বিস্তৃত বিবরণ আছে। তাহা বৈজ্ঞানিক হিসাবে কতকটা প্রামাণিক, তাহা বলিতে পারি না। বৈজ্ঞানিকের ভাষায় যে অশ্লীলতা ক্ষমার্হ, সাধারণ সাহিত্যে তাহা শোভন হইবে না, ভাবিয়া এই কৌতুহলপ্রদ বিবরণটির অনেকাংশ বাদ দিতে বাধ্য হইয়াছি। এই পুস্তকের ভাষা দেখিয়া ইহা সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে বিরচিত বলিয়া মনে হয় । ] শ্ৰীগুরু শিষ্যকে কৃপা করিয়া দেহের পৃথিবী আদি পঞ্চ ভূতের সহিত আত্মা চৈতন্তরূপ ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ দেখায়া তত্ত্বজ্ঞান জন্মাইয়া পরে নিত্য শ্ৰীবৃন্দাবন এবং শ্ৰীবৃহৎবৃন্দাবন সাধক শিক্ষক রূপে শ্রীরাধাকৃষ্ণাদিকে সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ দেখিআছেন কি না দেখিআছেন তাহা বুঝিবার কারণ জিজ্ঞাসেন তুমার নাম কি। শিষ্যে কহেন আমি ঐগুরুর দাস। ঐগুরু কহেন তুমার ত্রগুরু কে তাহা কহ। শিষ্যে কহেন আমার ঐগুরু শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত মহাপ্রভু। শ্ৰীগুরু জিজ্ঞাসেন তোমার শ্ৰীগুরু তোমাকে কি