সহজিয়া-সাহিত্য—জ্ঞানাদি-সাধনা—১৭শ শতাব্দী। বৃক্ষণদিকেহ নিত্য জানাইলেন। পরে অজ্ঞানী জন নিত্য হৈয়া সেই সাধুকে ঐগুরু জ্ঞান করিয়া জিজ্ঞাসা করেন আমাকে কৃপা করিয়া আত্মজ্ঞান জন্মাইয়া পরে নিত্য শ্ৰীনবদ্বীপের শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্তকে পৃথক্ দেখাইয়া নিত্য শ্ৰীবৃন্দাবনের পরমেশ্বর শ্ৰীকৃষ্ণাদিকে দেখাইয়া কৃতাৰ্থ করিলেন। পরে সেই সাধু কৃপা করিয়া সেই অজ্ঞান জনকে চৈতন্ত করিয়া তাহার শরীরের মধ্যে জীবাত্মাকে প্রত্যক্ষ দেখাইয়া পরে তাহার বাম কৰ্ণেতে শ্রীচৈতন্ত মন্ত্র কহিয়৷ পরে সেই চৈতন্য মন্ত্রের অর্থ জানাইয়া পরে সেই জীব দ্বারাএ দশ ইন্দ্রিয় আদি যুক্ত নিত্য শরীর দেখাইয়া পরে সাধক অভিমানে শ্ৰীকৃষ্ণাদির রূপ আরোপ চিন্তাতে দেখাইয়া পরে সিদ্ধি অভিমান শ্ৰীকৃষ্ণাদির মুক্তি পৃথক্ দেখাইয়া প্রেম লক্ষণার সমাধি-ভক্তিতে সংস্থাপন করিলেন। পরে সেই অজ্ঞানী জন এই প্রকার সেই শ্ৰীগুরু হৈতে আপনার আত্মাকে পৃথক্ দেখিয়া পরে নিত্য শ্ৰীনবদ্বীপের শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত মহাপ্রভুকে পৃথক্ দেখিয়া পরে সাধক অভিমানে শ্রীরাধাকৃষ্ণাদি পৃথক্ দেখিয়া প্রেম-লক্ষণ রসময়ী ভক্তি করিয়া নিত্য রসে বিরাজ করিলে পুনৰ্ব্বার সেই গুরু-স্থানে কহেন আপনে আমার জ্ঞানদাতা শ্ৰীগুরু আপনি আমার জ্ঞান জন্মাইয়াছেন কি না তাহা বুঝিবার কারণ আমাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছেন তাহাতে আপনি আমাকে যে প্রকার জ্ঞান জন্মাইয়াছেন তাহাতে আমি যে প্রকার বুঝিয়াছি তেমত কহিলাম। পরে সেই জ্ঞানদাতা শ্ৰীগুরু শিষ্যকে আলিঙ্গন করিয়া আশীৰ্ব্বাদ কহিলেন তুমার স্বজ্ঞান আদি জন্মিয়াছে তুমি শ্ৰীবৃন্দাবনে প্রেম-লক্ষণ রসময়ী ভক্তিতে বিরাজ কর । ইতি ॥ ››ጫ
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।