সনাতনের বৈরাগ্য। হুজুরে তলৰ। নরেশ্বর দাসের চম্পক-কলিকা। ১৭৭৬ খৃঃ অব্দের হস্তলিখিত পুথি হইতে উদ্ধৃত হইল। ( ১৬৯৮ শকাব্দে পুং নঃ। মোট ১৩ পাতা । ) সনাতনের সন্ন্যাস । ষষ্ঠ বৎসর আগে শ্রীরূপ গেলা বৃন্দাবন। সনাতন খুঞা হেথা স্থির নহে মন ॥ রাত্রি দিন ভাবে রূপ গৌরাঙ্গ-চরণ। সনাতন-সঙ্গে প্রভু করাহ মিলন ॥ এই বাঞ্ছা করি মনে ফিরে বৃন্দাবনে যুগলকিশোর-পদ করিঞা ধেয়ানে ॥ পাতসার উজীর হঞা ছিল সনাতন । বিষয়-বন্ধন মোর করহ মোচন ॥ বিষয়-বিষের জালা সহনে না যায়। হৃদয়ে পুড়িয়া মরি কি করি উপায় ॥ এই ভাবে রাত্রি দিনে কান্দে সনাতন । না ধরে নয়নে জল বিরস বদন ॥ দেখিয়া সঙ্গের লোক যত অনুচর । মনে মনে ভাবে সবে করি চমৎকার ॥ যুক্তি-পরামর্শে সভে গেলা অন্তস্থানে। সত্বরে জানাইল গিয়া পাতসার কাণে ॥ উজীর ঠাকুর কান্দে নাহি জান কেনে। সাহেবের সাক্ষাতে গিয়া করে নিবেদনে ॥ শুনিয়া উকিল-মুখে পাতস বিস্মিত। আন দেখি সনাতনে আমার বিদিত ॥ পাতসার আজ্ঞা হৈল সনাতন আনিবারে। ধাইঞা চলিল উকিল সনাতনের তরে ॥ আবেশ করিয়া আছেন শয়ন করিয়া । হেন কালে উকিল সব উত্তরিল গিঞা ॥
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।