১৬৫৪ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । চিন্তামণি স্পর্শ হয় চৈতন্ত গোসাই । তাহা বিনে স্পর্শমণি কোথায় না পাই ॥ তেহ স্পর্শ মণি করে জাম্বুনদ হেম । রূপ সনাতনে স্পর্শি কৈল সেই প্রেম ॥ কোন ভাগ্যে কোন জীবে সাধু-সঙ্গ করে। প্রাপ্তি বস্তু দেখি সেই তৈছে শক্তি ধরে ॥ দিবা নিশি সেই রূপে মন দিয়া থাকে। নিরবধি দীপ্তিমান নয়নেতে দেখে ॥ সেই রূপ-লাবণ্যের তুলনা নাহি পাই। চন্দ্র স্বৰ্য্য দুই দেখি এক কোন গাই ॥ অষ্ট কাল অষ্ট প্রহর সেই রূপে মন । শ্রীরসিক চরণে মাগি সদা দরশন ॥ অকুমার বৈরাগ্য শ্রেষ্ঠ প্রশংসে যে কারণ। বুঝি দেখ কিবা মৰ্ম্ম করি নিবেদন ॥ পূর্ণ কুম্ভ আছে তার মস্তক-উপরে। হেন পূর্ণ কুম্ভ যদি সাধু-শক্তি ধরে । তবে ত তাহার দেহে প্রেমের প্রকাশে । অতএব সবে কহে ভাল হৈল দেশে ॥ সাধু-শাস্ত্র সাধু মুখে তিন জন্ম শুনি । ভক্তি ভাবে হয় অন্ত মতে নাহি মানি ॥ গুরু-কৃপা সাধু-কৃপা মাতা পিতা হৈতে। পৃথকৃ পৃথক্ জন্ম কহিএ তোমাতে ॥ জয় জয় কবিরাজ ঠাকুর গোসাই। মোর বাঞ্ছা পুৱাইতে তোমা বিনে নাই। এই গ্রন্থে কর গোসাঞি কৃপাবলোকনে। রূপাশ্রয় বিনে যেন কেহ নাহি জানে ॥ বস্তুনিষ্ঠ বিনে যেন কেহ বুঝে নাই। কৃপা এই গ্রন্থে করহ গোসাঞি ॥ এই ত কহিল বৰ্ত্ত বিবৰ্ত্ত সন্ধানে । বারতি রাখিল সাধু গুরুর চরণে ॥ “মায়া আসি প্রেম মাগে কি ইহা বিস্ময় । সাধু কৃপা না পাইলে প্রেম না জন্মায়।”
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।