সহজিয়া-সাহিত্য—রাধাবল্লভ দাস–১৮শ শতাব্দী। শ্রদ্ধা করি গুন ভক্ত ইহার সিদ্ধান্ত । সাধন-সন্ধান ইথে জানিবে একান্ত ॥ তর্ক না করহ ইথে শুদ্ধ মনে চাহ । বুঝিয়া আমারে সবে আশিস করহ ॥ এই ধৰ্ম্ম এই কৰ্ম্ম এই ক্রিয়া সার। জন্মে জন্মে মন যেন ভাবয়ে আমার ॥ - এই মৰ্ম্ম সাধু বিনে অন্যথা না যাই। শ্রীরূপের গণ-পাদপদ্ম মুঞি চাই ॥ ঐরুপ রঘুনাথ রসিক পদে আশ। অকিঞ্চন দাসে কহে বিবর্ত-বিলাস ॥ রাধাবল্লভ দাসের সহজ-তত্ত্ব। যে পুথি পাওয়া গিয়াছে তাহ ১৮২২ খৃষ্টাব্দের (বাং ১২৩০ সালের) হস্তলিখিত। সম্ভবতঃ আরও অৰ্দ্ধ শতাব্দী পূৰ্ব্বে পুথিখানি রচিত হইয়াছিল। এই পুস্তকের ভাষা ও ভাব অনেকটা প্রহেলিকার দ্যায়,— সকল স্থলে অর্থবোধ হয় না। শ্ৰীবৃন্দাবন কারে বলি। বৃন্দাবন তিন মত প্রকার হন। কি কি। নব-বৃন্দাবন এক ৷ ১ ৷ মন-বৃন্দাবন। ২। নিত্য-বৃন্দাবন। ৩। কেমন স্থান নব-বৃন্দাবন। লীলা-বৃন্দাবন কারে বলি। ইহার অধিকারী গোলোকনাথে বলি। পূর্ণ ষড়ৈশ্বৰ্য্য ভগবান। নিত্য-বৃন্দাবন কারে বলি। নিত্য-স্থান কোথা । ব্ৰহ্মা বিষ্ণু অগোচর। নিত্য রাধা কৃষ্ণ বিরাজমান। রাধাকুণ্ড স্যামকুণ্ড মধুর। ইহাকে নিত্য-বৃন্দাবন বলি। মন-বৃন্দাবন কারে বলি। সাধকের মন কৃষ্ণ-ভক্তি। এ একতা প্রতি হইয়া সাধন করে। সেই মন-বৃন্দাবন বলি। ইহার অধিকারী ভক্ত। সেখানে এখানে। একই রূপ হয়। প্ৰবৰ্ত্ত দেহেতে কায়িক বাচিক মানসিক কারে বলি। কায়াটি কায় মনোবাক্যে। বাচিক অমুক ঠাকুরে শিক্ষা। মানসিক নিত্যসিদ্ধা। মুকুন্দা বর্তের আশ্রয়। অমুক মঞ্জরী। সিদ্ধ দেহেতে কায়িক বাচিক মানসিক কারে বলি। কায়াট ত্ররূপ মঞ্জরীগত । বাচিক অমঞ্জরী। উচ্চারণ হাকাহাকি। মানসিক নীতি নবকিশোর। এবং কৃষ্ণ-প্রাপ্তি আদি সম্ভোগ করে। এবং প্রবর্ত দেহেতে >ぐりQ○
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।