১৬৬৪ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । যেখানে যে দ্রব্য তাহা হয় বর্তমান । পশ্চাৎ প্রদীপে আছে কোন প্রয়োজন (১)। এমতি জানিবে জ্ঞান জ্ঞেয়মান করে। অজ্ঞানতা গেলে ভক্তি হয় গোচরে ॥ অজ্ঞান পশুর এথে না হয় প্রবেশ । সে কেমনে পায় ভক্তি-তত্ত্বের উদ্দেশ ॥ আহার * * নিদ্রা পশুর এই জ্ঞান। সে কেমনে জানিবে ভক্তি-তত্ত্বের সন্ধান ॥ কৃষ্ণ যেই ভজে সেই জ্ঞানি-শিরোমণি ৷ দিব্যজ্ঞান হয় গুরু-উপদেশ জানি ॥ অতএব সৰ্ব্বজ্ঞকে জিজ্ঞাসিব তত্ত্ব। কোন খানে কোন ধাতু আছে জানি বৃত্ত। নেত্রে কোন ধাতু আছে চিনি সৰ্ব্ব বর্ণ। কোন ধাতে ধ্বনি শুনি কোন ধাতে কর্ণ। নাসিকাতে কোন ধাতু আছে বৰ্ত্তমান । যাতে করি করে সেহ গন্ধামৃত পান ॥ রসনায় কোন ধাতু দিব্য স্বাদ জানে। অম্ন কষায় তিক্ত বাছি করে পানে ॥ কহ দেখি কোন ধাতে দেহ স্থিতি হয়। সেই কহে যাতে পরম পুরুষত্ব আছয় ॥ পরম পুরুষত্ব যাতে জানে সৰ্ব্বতত্ত্ব। সৰ্ব্বজ্ঞর স্থানে জানি এই সব অর্থ। তাথে তিন ধাতু মুখ্য বায়ু পিত্ত কফ । এই অষ্ট ধাতে হয় দেহ অনুভব ॥ এই বস্তু মাত্র গুরু-উপদেশে পাই । ইহার প্রমাণ শুন সন্দেহ ঘুচাই। গুরু-উপদেশে হয় বস্তু বর্তমান । ংস্ত যৈছে স্বর্ণ হয় রসের বিধান ॥ ক্রম জানি ফুট যদি দেই কিমাকার (?)। তবে তাহাতে স্বর্ণ উত্তরে সুন্দর ৷ (১) জ্ঞানের দ্বারা দ্রব্যের পরিচয় লাভ করিবে, তার পর সেই জ্ঞানের প্রয়োজন নাই, তখন ভক্তিই লক্ষ্য হইবে।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।