পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$$సిy বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । বালক ইহাকে নষ্ট করা কোন মতেই হইতে পারে না এবং এ আমার বড়ই প্রিয়োত্তম ভ্রাতুপুত্র ইহার কোন বিঘটিত হইলে আমার জীবন সংশয়। রাজা বসন্তরায়ের এই ২ মত কাতৰ্য্যত উক্তিতে মহারাজাও রোদন করিতে প্রবর্ত দুই ভ্রাতাই রোদন করিতে লাগিলেন। কিঞ্চিত পরে মহারাজা কহিলেন শুন আমি কিছু এ বালকের জন্ত ক্ষিদ্যমান নহি । জানিলাম তোমার অন্তক নিতান্ত এই হবেক তোমার অন্তক কুলের কলঙ্ক ইহার স্নেহেতে তুমি ডুবিল কিন্তু এ হবে দুৰ্য্যোধনের মত। কালক্রমে এ সমস্ত বিদিত হবেক ইহাই ভাবিয়া আমি কাদি । রাজা বসন্তরায় স্নেহক্রমে মহারাজার কথার গৌরব করিলেন না। মহারাজা অদৃষ্ট মানিয়া ধৈর্য্য অবলম্বন করিলেন। ইহাতে রাজা বসন্তরায়হর্ষ চিত্ত হইলেন। রাজীবলোচনের কৃষ্ণচন্দ্র-চরিত। ( রাজীবলোচনের কৃষ্ণচন্দ্র-চরিত ১৮১১ খৃঃঅব্দে লণ্ডন নগরে মুদ্রিত হইয়াছিল। ) পরে ইঙ্গরাজের যাবদীয় সৈন্ত পলাশীর বাগানে উপনীত হইয়া সমর আরম্ভ করিল। নবাবী সৈন্ত সকল দেখিল যে প্রধান প্রধান সৈন্তের মনোযোগ করিয়া যুদ্ধ করে না এবং ইঙ্গরাজের অগ্নিবৃষ্টিতে শত শত লোক প্রাণত্যাগ করিতেছে কি করিব ইহাতে কেহ উষ্মাক্রমে যুদ্ধ করিয়া প্রাণত্যাগ করিতেছে। যুদ্ধ ভাল হইতেছে না ইহা দেখিয়া নবাবের চাকর মোহনদাস নামে একজন সে নবাব সাহেবকে কহিলেন আপনি কি করেন আপনার চাকরেরা পরামর্শ করিয়া মহাশয়কে নষ্ট করিতে বসিয়াছে। ইঙ্গরাজ সঙ্গে প্রণয় করিয়া রণ করিতেছে না। অতএব নিবেদন আমাকে কিছু সৈন্ত দিয়া পলাশীর বাগানে পাঠান আমি যাইয়া যুদ্ধ করি আপনি বাকি সৈন্য লইয়া সাবধানে থাকিবেন পূর্বের দ্বারে যথেষ্ট লোক রাখিবেন এবং এইক্ষণে কোন ব্যক্তিকে বিশ্বাস করিবেন না। নবাব মোহনদাসের বাক্য শ্রবণ করিয়া ভয়যুক্ত হইয়া সাবধানে থাকিয়া মোহনদাসকে পচিশ হাজার সৈন্ত দিয়া অনেক আশ্বাস করিয়া পলাশীতে প্রেরণ করিলেন। মোহনদাস উপস্থিত হইয়া অত্যন্ত যুদ্ধ করিতে প্রবর্ত হইল। মোহনদাসের যুদ্ধেতে ইঙ্গরাজসৈন্ত শঙ্কান্বিত হইল। মীরজাফরালি খান দেখিলেন এ কৰ্ম্ম ভাল হইল না যদ্যপি মোহনদাস ইঙ্গরাজকে পরাভব করে আর এ নবাব থাকে তবে আমাদিগের সকলেরি প্রাণ যাইবেক অতএব মোহনদাসকে নিবারণ করিতে হইয়াছে। ইহাই - * *