>A>○ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । স্থানে উপস্থিত হইয়া উষ্ট্রের সঙ্কল্প জানিয় তাহাকে কহিলেন ওরে পণ্ড পরমেশ্বরেচ্ছ-নিয়মিতের অধিকাকাজী তুই হইয়াছিল। তথাস্তু। ইহা শুনিয়া ঐ উষ্ঠ মনে মনে আনন্দিত হইল ও কহিল বড় ভাল হইল আমার শাপে বর হইল। এইরূপে ঐ উট লম্বমান আস্ত পাইয়া বসিয়া বসিয়া পাত্রে সমিতি স্থায় ভোজনানন্দে কিছুদিন থাকে। ইতি মধ্যে দৈবাৎ এক দিবস অতি বড় শিলা-বৃষ্টি হইতে লাগিল তাহাতে ঐ উঠু করকাভিঘাতে অত্যন্ত কাতর হইয়া অন্যত্র বক্ত সম্বরণ করিতে না পারিয়া পৰ্ব্বত-গহ্বর-মধ্যে আন্ত প্রবেশ করাইল। সেই গুহাতে এক অজগর সর্প ছিল তাহার চলৎশক্তি নাই কখন আহার পাইতে পারে না কেবল পবন মাত্র ভোজনে কাল যাপন করে। সেই দিন ঐ উষ্ট্রের বদন পাইয়া অতিশয় হৰ্ষিত হইয়া হে ঈশ্বর তুমি ধন্য এ স্থানেও আমার আহার আনিয়া দিল৷ অজগরের দাতা রাম এই বাক্য সত্য বটে এইরূপে ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিয়া পরমানন্দে উষ্ট্রের ঐ মুখ ভোজন করিল। অবিগীত শিষ্টাচার প্রসিদ্ধ যে তাহাই করিবে লোক প্রসিদ্ধাতিক্রম করিয়া কিছু করিবে না ইহার কথা । ধৰ্ম্মারণ্যে এক ব্রাহ্মণ থাকেন তিনি হবিষ্কাশী মৎস্তমাংসাদি আমিষদ্রব্য কদাচ ভক্ষণ করেন না। ঐ ব্রাহ্মণ এক দিবস বিবেচনা করিলেন যেমন অপবিত্র দ্রব্য-সংস্পষ্ট পূক্ত সামগ্রী অখাদ্য হয় তেমনি আমিষ মীনসংস্পৃষ্ট যে সলিল সেও পেয় হইতে পারে ন৷ অতএব আজি অবধি আমি নদী নদ হ্রদ পুষ্করিণী পল্লল প্রভৃতি জলাশয়ের জল আর পান করিব না। তাহা করিলে নিরামিষ ভোজনত্ৰত ভঙ্গপ্রসঙ্গ হইবে তবে এতৎ পৰ্য্যন্ত যে হইয়াছে সে অজ্ঞানতঃ । এইরূপ মনে করিয়া তদবধি নছাদি-পয়ঃপান পরিত্যাগ করিলেন অন্তঃসলিলবাহিনী নদীর বারি পান করিতে লাগিলেন । দৈবাৎ এক দিবস সে জলেতেও এক ক্ষুদ্র শফী মৎস্তকে বীক্ষণ করিয়া তজ্জল পান বর্জন করিয়া কুপোদক পান করিতে লাগিলেন। কদাচিৎ একদা তদন্তুতেও এক ক্ষুদ্র প্রোষ্ঠী দেখিতে পাইয়া সে জল খাওয়া ছাড়িয়া নারিকেলোদক খাইতে আরম্ভ করিলেন। অনন্তর সে জলের ভিতরেও ক্রিমি কীট দর্শন করিয়া তৎপান পরিত্যাগ করিয়া অতি পিপাসাতে শুষ্ককণ্ঠ হইয় বর্ষোদক প্রত্যাশাতে উৰ্দ্ধে মুখ-ব্যাদান করিয়া আছেন এতদবসরে এক বায়ুস পক্ষী তদ্বক্ত-মধ্যে শৌচ করিয়া দিল। পরে ঐ ব্রাহ্মণ একেতে তৃষ্ণাতে শুষ্ককণ্ঠ ছিলেন দ্বিতীয়তঃ বক্তান্তর্গত বায়স-পুরীষ দুৰ্গন্ধ প্রযুক্ত
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।