›ኅ® e বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । ১৭৭৯ সালের ১৩ আগস্ত তারিখে কাশীযোড়ার রাজার মোখতারকার কাশীনাথ বাবু ঐ রাজার নামে সুপ্রিম কোর্টে লালিশ করেন ইহাতে রাজার নামে এক পরওয়ানা বাহির হয় তাহতে এই লিখিত ছিল যে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার জামিন যদি রাজা না দেন তবে তাহাকে কলিকাতায় আনয়ন করিবা। রাজা ঐ পরওয়ানার ভয়েতে অস্পষ্ট থাকিলেন তাহাতে রাজস্ব আদায় করা বাকী পড়িতে লাগিল অপর ঐ পরওয়ানা জারী না হইয়া ফিরিয়া আসাতে র্তাহার ভূম্যাদি সম্পত্তি ক্রোক করণের নিমিত্তে অপর এক পরওয়ানা বাহির হইল এবং তাহা জারী করণার্থ কলিকাতার সরিফ সাহেব আদালতের এক সারজন ও যাইট জন বরকন্দাজকে তথায় পাঠাইলেন এবং তাহারা তথায় উপস্থিত হইয়া ঐ রাজার বাটীর অন্তঃপুরের মধ্যে প্রবেশ করিতে উদ্যত হইল এবং রাজার ভূত্যেরা তাহার নিবারণ করাতে ঐ বরকন্দাজের তাহার দিগকে অত্যন্ত প্রহার করিয়া আঘাতী করিল। পরে অন্তঃপুরে প্রবেশকরণ পূৰ্ব্বক তাবৎ সম্পত্তি লুঠ করিতে লাগিল। অনন্তর দেবালয় সকলেতেও অত্যাচার করিয়া ঐ দেব বিগ্ৰহাদির অলঙ্কার বস্ত্র প্রভৃতি লুঠ করিল। এই অশুভ যাত্রার সম্বাদ প্রাপ্ত মাত্রেই গবরনর জেনরল সাহেব সুপ্রিম কোর্টেতে কোম্পানি বাহাদুরের উকিলের সহিত পরামর্শ করিয়া রাজাকে পত্রের দ্বারা জ্ঞাপন করিলেন যে তুমি ঐ আদালতের ক্ষমতা ও হুকুম মানিবা না এবং মেদিনীপুরের সেনাপতি সাহেবের নিকটে জ্ঞাপন করিলেন যে তুমি ঐ সকল বরকন্দাজকে গ্রেফতার করিবা কিন্তু শ্ৰীযুতের এই পত্র না পহুছিতে পহুছিতে ঐ উক্ত অত্যাচার সকল নিৰ্ব্বাহ হইয়াছিল তথাপি প্রত্যাগমন কালে তাহারা সকলেই ধৃত হইল। অপর মুপ্রিম কোর্ট এই সংবাদ শ্রবণ মাত্রেই কোম্পানির উকিল এবং যে সেনাপতি সাহেব ঐ বরকন্দাজদিগকে ধৃত করিয়া ছিলেন র্তাহাদিগকে গ্রেফতার করণের নিমিত্তে এক পরওয়ানা দিলেন এবং তাহাতে ঐ বেচারা উকিল তৎক্ষণাৎ কলিকাতার জেছলখানায় কয়েদ হইল এবং তাহার নামে ফৌজদারি বিষয়ক এক লালিশ করা গেল অথচ গবরনর জেনরলের হুকুমানুসারে কৰ্ম্ম করা এতাবন্মাত্র তাহার অপরাধ । অপর কাশীনাথ বাবুর নিবেদনেতে সুপ্রিম কোর্টের জজ সাহেবের গবরনর জেনরল ও তাবৎ কৌন্সেলী সাহেবের দের উপর পরওয়ান দিলেন কিন্তু তাহারা এক পত্র আদালতে প্রেরণ করিয়া কহিলেন যে আমরা রাজকীয় যত কৰ্ম্ম করিতেছি তদ্ঘটিত সুপ্রিম কোর্টের কোন হুকুম মানিব না এবং তাহারা তৎসময়ে তিন মুবার জমীদার ও তালুকদার
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।