প্রাচীন গদ্য-সাহিত্য—রাজা রামমোহন রায়—১৭৭৪-১৮৩৩ খৃঃ । ১৭৫৩ আপ্রিল মাসে আঠারো পৰ্য্যন্ত সংখ্যা বৃদ্ধি হইয়া প্রবিন্স্যল আদালত স্থাপিত হইল। রাজা রামমোহন রায়ের বাঙ্গলা রচনা ৷ রামমোহন রায়ের জীবনী ও গ্রন্থাবলী সম্বন্ধে বিশেষ বিবরণ মৎকৃত History of Bengali Language and Literature ogo ৯৩১-৯৮৯ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য। পৌত্তলিক মত নিরসন । প্রথমতঃ বাঙ্গালা ভাষাতে আবগুক গৃহ ব্যাপার নির্বাহের যোগ্য কেবল কতকগুলিন শব্দ আছে। এ ভাষা সংস্কৃতের যেরূপ অধীন হয় তাহা অন্ত ভাষার ব্যাখ্যা ইহাতে করিবার সময় স্পষ্ট হইয়া থাকে দ্বিতীয়তঃ এ ভাষায় গদ্যতে অদ্যপি কোন শাস্ত্র কিম্বা কাব্য বর্ণনে আইসে নাই । ইহাতে এতদেশীয় অনেক লোক অনভ্যাস প্রযুক্ত দুই তিন বাক্যের অন্বয় করিয়া গদ্য হইতে অর্থ বোধ করিতে হঠাৎ পারেন না ইহা প্রত্যক্ষ কালুনের তরজমার অর্থ বোধের সময় অনুভব হয়। অতএব বেদাস্ত শাস্ত্রের ভাষায় বিবরণ সামান্ত আলাপের ভাষার দ্যায় সুগম না পাইয়া কেছ কেহ ইহাতে মনোযোগের নূ্যনত করিতে পারেন এ নিমিত্ত ইহার অনুষ্ঠানের প্রকরণ লিখিতেছি। যাহাদের সংস্কৃতে ব্যুৎপত্তি কিঞ্চিতে থাকিবেক আর যাহারা ব্যুৎপন্নলোকের সহিত সহবাস দ্বারা সাধুভাষ কহেন আর শুনেন র্তাহীদের অল্প শ্রমেই ইহাতে অধিকার জন্মিবেক । বাক্যের প্রারম্ভ আর সমাপ্তি এই দুয়ের বিবেচনা বিশেষ মতে করিতে উচিত হয়। যে যে স্থানে যখন যাহা যেমন ইত্যাদি শব্দ আছে তাহার প্রতিশব্দ তখন তাহ সেইরূপ ইত্যাদিকে পূৰ্ব্বের সহিত অন্বিত করিয়া বাক্যের শেষ করিবেন। যাবৎ ক্রিয়া না পাইবেন তাবৎপৰ্য্যন্ত বাক্যের শেষ অঙ্গীকার করিয়া অর্থ করিবার চেষ্টা না পাইবেন। কোন নামের সহিত কোন ক্রিয়ার অন্বয় হয় ইহার বিশেষ অনুসন্ধান করিবেন যেহেতু এক বাক্যে কখন কখন কয়েক নাম এবং কয়েক ক্রিয়া থাকে ইহার মধ্যে কাহার সহিত কাহার অন্বয় ইহা না জানিলে অর্থজ্ঞান হইতে পারে না। তাহার উদাহরণ এই ৷ ব্ৰহ্ম যাহাকে সকল বেদে গান করেন আর
- Ro
বাঙ্গলা ভাষার অন্বয়াদি সম্বন্ধে মন্তব্য ।