ՏԳե-Հ ক্রমে দুঃখের অবসান । বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । ভুলিয়া আহলাদ সাগরে ভাসিতে লাগিলাম। সেই দিন যে কি আনন্দের দিন। সে আনন্দ বর্ণনাতীত। তখন যেমন অল্পেই কান্না উপস্থিত হইত পরমেশ্বর তেমনি আনন্দও দিয়াছিলেন। আমি ঐ সকলের সঙ্গ পাইয় আহলাদের স্রোতে ভাসিয়া ভাসিয়া বেড়াইতে লাগিলাম। যা হউক বাল্যকালের পর আর কাল নাই তখন আমার বয়ঃক্রম বার বৎসর। এই বার বৎসর অবধি আমার এই প্রকার অজ্ঞান অবস্থাতে গত হইয়াছে। তখনও আমি পাচ বৎসরের মেয়ের মত ব্যবহার করিতাম। ছি ছি আমি এমন ছিলাম যে আমার বুদ্ধিমাত্রও ছিল না এই জন্ত সকলে আমাকে নিৰ্ব্বোধ বলিত। বিবাহের পরে আমার খুড়া আমাকে এক বৎসর শ্বশুরালয়ে পাঠান নাই। ঐ এক বৎসর আমি মার কাছে স্বচ্ছন্দ চিত্তে কালযাপন করিয়াছিলাম। এক বৎসর পরে আবার আমায় যাইতে হইল । সেইবার গিয়া দুই বৎসর থাকা হইল। আমি পূর্বের মতই সকল দিবস কাদিতাম কিন্তু ঐ বাটীর লোকজন ইত্যাদি দেখিতে দেখিতে ক্রমে ক্রমে আমি অল্প অল্প চিনিতে লাগিলাম। আমি কাহার সঙ্গে কথা কহিতাম না । কেবল মনে মনে পরমেশ্বরকে ডাকিতাম। পরমেশ্বরের সঙ্গেই যা কিছু কথা হইত। আর আমার বাপের বাড়ীর সকলের কথা মনে মনে স্মরণ করিয়া কাদিতাম। আমার চক্ষে জল ছাড়া হইত না। পক্ষীটা কি গাছটা কি কুকুরটা কি বিড়ালট যা দেখিতাম আমার জ্ঞান হইত যে আমার বাপের দেশ হইতে আসিয়াছে এই ভাবিয়া কাদিতাম। পিত্রালয়ে আমার অতিশয় সোহাগ ছিল। লোকে মেয়েকে কত গালি দেয় এবং মায়ে কত মারিয়াও থাকে। মারি দূরে থাকুক পরমেশ্বরের ইচ্ছায় আমাকে কেহ বড় করিয়া কথাও বলে নাই ফলতঃ আমার বড় সোহাগ ছিল। পরে নূতন জায়গায় গিয়া নুতন বেী হইলাম এখানেও আমার আদরের ক্রটি হয় নাই। বেী হইয়া আমার সোহাগের কিছুমাত্র হাস হয় নাই বরং ক্রমেই আরও বৃদ্ধি হইতে লাগিল। আমার শাশুড়ী ঠাকুরাণী আমার খেলবার জন্ত কত প্রকার জিনিষ আনিয়া দিতেন। আর ঐ গ্রামের সকল বালিকাদিগকে ডাকিয়া আমার নিকট আনিয়া দিতেন । ঐ বালিকাগণ খেলা করিত আমি বসিয়া দেখিতাম। ঐ প্রকারে কতক। দিবস গত হইয়াছে। তখনও আমি গোপনে গোপনে কাদিতাম বটে কিন্তু র্তাহীদের নিকট সকল দিন থাকিতে থাকিতে র্তাহীদের পোষা পার্থী হইয়া তাহাদেরি শরণাগত হইলাম। বাল্যকালের সকল কথাই আমার যেন ছাইমাটির মত বোধ হয়। যাহা হউক আমিতে লিখিয়া বসিলাম। 擎 豪 豪 飄 幕 豪 豪 事
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।