প্রাচীন গদ্য-সাহিত্য—গোলোক শৰ্ম্মার হিতোপদেশ–১৮০১ ? ** মধ্যে মলমূত্র ত্যাগ করিল। তাহাতে সমুদয় ভাত এককালে ভাসিয়া চলিল । পরমেশ্বরের ঐ কাণ্ড দেখিয়া আমি হাসিতে লাগিলাম। আমি যে দুই দিবস ভাত খাই নাই এ কথা আর কাহার নিকট প্রকাশ করিলাম না আমার মনে মনেই থাকিল। বিশেষতঃ আপনার খাওয়ার কথা সকল লোকে শুনিবে সেটা ভারী লজ্জার বিষয়। ও সকল কথা আমি কাহার নিকট বলিতাম না ও কেহ জানিত না । এই প্রকারে মাঝে মাঝে কত দিবস আমার খাওয়া হইত না । হিতোপদেশ । (১) সংগ্ৰহ ভাষাতে । গোলোকনাথ শৰ্ম্মণা ক্রিয়তে । শ্রীরামপুরে ছাপা হইল। ১৮০১ খৃষ্টাব্দ। --১৫০ 2৫-১ میبیست و یک ه مس --------------------------------------------- সৰ্ব্বত্রে বিচিত্র কথা এবং নীতি বিদ্যাদায়িক যে কিমত তাহার বিশেষ কহি । পণ্ডিত যে ব্যক্তি সে বিদ্যার্থ কিমত চিন্তা করে তাহা শুন । অজরামরবৎ আর ধৰ্ম্মাচরণ কেমন যেমত যমেতে কেশাকর্ষণ করিয়া থাকে তাদৃশ। অপর বিদ্যাবস্তু সকল দ্রব্যের মধ্যে অত্যুত্তম কহিয়াছেন তাহার কারণ এই অহরণীয় অমূল্য অপূৰ্ব্ব অংশীর অধিকার নাহি ও চোরের অধিকার নাহি এবং দানেতেও ক্ষয় নাহি অতএব বিদ্যারত্ন মহাধন সংজ্ঞা তাহার শক্তি কি কি বিদ্যা বিনয়দাতা বিনয় পাত্রদাতা পাত্র ধনদাতা ধন ধৰ্ম্ম ও সুখদাতা এ বিষয় কহিলে পুস্তক বাহুল্য হয় অতএব সংক্ষেপে কিছু কিছু কহিব। সম্প্রতি মিত্ৰলাভ স্বহৃদভেদ বিগ্ৰহ সন্ধি। এই চারি ভাগ। কোন নদীর তীরেতে পাটলীপুত্র নামধেয় এক নগর আছে সে স্থানে সৰ্ব্বস্বামী গুণোপেত সুদর্শন নামে রাজা ছিল। সেই রাজা এককালে কোন কাহার মুখে দুই শ্লোক শুনিলেন তাহার অর্থ এই শাস্ত্ৰ সকলের লোচন অতএব যে শাস্ত্র না জানে সেই অন্ধ। আর যৌবন ধন সম্পত্তি প্রভুত্ব অবিবেক ইহার যদি এক থাকে তবেই অনর্থ সমুদায় থাকিলে না (১) এই অংশ ও পরবর্তী কয়েকটি অংশ পূৰ্ব্বে না পাওয়াতে সময়ের পৰ্য্যায়মত দেওয়া যাইতে পারে নাই । R 28 বিদ্যার গৌরব। - - - -
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।