প্রাচীন গদ্য-সাহিত্য—ব্যাকরণ–১৮৪০ খৃঃ । ৪ । সোলন । সোলনের কোমল ব্যবহার বিষয়ে অনাথার্সিস নিত্য উপহাস করিয়া কহিতেন যে ব্যবস্থা মাকড়সার জালের মত। যেমন দুৰ্ব্বল মক্ষিক তাহাতে ধরা পড়ে এবং বলবান ভ্রমর তাহা ভাঙ্গিয়া পলায় তেমন দরিদ্র অপরাধী ব্যবস্থার জালের মধ্যে ধরা পড়ে কিন্তু ধনবান ব্যক্তি তাহ ভাঙ্গিয়া পলায়ন করে । সাধুভাষায় ব্যাকরণ-সারসংগ্রহ। অর্থাৎ সংস্কৃত মতানুযায়ি সাধুভাষায় সাধু সরল শব্দ বিন্যাস পূর্বক শ্ৰীভগবচ্চন্দ্র বিশারদ কর্তৃক রচিত এবং শ্ৰীযুক্ত বাবু গোবিন্দচন্দ্র সেন মহাশয়ের সহায়তাতে প্রকাশিত হইয়া শ্ৰীযুত ব্ৰজনাথ বস্তুর দ্বারা চোরবাগানের এংগ্নেইণ্ডিয়ান ছাপাষন্ত্রে মুদ্রাঙ্কিত হইল। বাং সন ১২৪৭ সাল ইং ১৮৪০ সাল। ●2の2/">ー== میے یہ*3 - 6 ملی-~ ভূমিকা। বহুকালাবধি এই ভারতবর্ষে হিন্দু রাজাদিগের অধিকার থাকাতে অনেক স্থানে অনেক লোকেরই প্রায় সংস্কৃত ভাষা ব্যবহার ছিল এবং সৰ্ব্বত্ৰ সৰ্ব্বদা ঐ ভাষা সমাদরপূর্বক অনুশীলন হেতুক প্রবলতর হইলে উত্তরোত্তর তাহাতে উত্তমোত্তম গ্রন্থ বাহুল্য হইতে ছিল। পরে তত্তদগ্ৰন্থরচনাদি নিয়ম নিৰ্দ্ধারণার্থে অনেক অনেক প্রকার পাণিনিপ্রভৃতি ব্যাকরণ রচনা করিলে, তাহার তাৎপৰ্য্যার্থ সংক্ষেপে নিৰ্ব্বাহার্থে বহুবিধ শাস্ত্রপারদর্শী বিপ্র শ্ৰীবোপদেবাদিকতৃক মুগ্ধবোধাদি বিবিধ গ্রন্থও সংগৃহীত হইতে ছিল, এবং তৎকালে সৰ্ব্বদা সৰ্ব্বসাধারণ ব্যবহারার্থে সাধুদিগের সংস্থাপিত সংস্কৃতভাষানুযায়ি ভাষা সাধুভাষা নামে প্রচলিত ছিল। অনন্তর ঐ হিন্দুরাজ্যে যবনাধিকার হইলে তাহদের স্বভাষা প্রতি প্রয়াস থাকতে প্রথমতঃ ঐ সংস্কৃত ভাষায় অনাদর জন্মিল এবং যাবনিক ভাষা রাজকীয় ভাষা হওয়াতে সুতরাং স্বয়ং তাহার প্রভা প্রকাশ পাইতে লাগিল অপর অর্থকরী বিদ্যা প্রশংসাৰ্ছ সৰ্ব্বজনমনোনীত ইত্যর্থে XዓAS »
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।