পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন গদ্য-সাহিত্য-ঈশ্বর গুপ্ত—জন্ম ১৮১১ খৃঃ । কখন মুক্ত হইতে পারিতেন না। শিবশঙ্কর দাস একদিন পীর খ নাজিরের সহিত টক্রাটক্রি (১) দেওয়ার জন্ত রেশমের কুঠীর ২০০০ হাজার তলবদরকে একবারে দেখিতে পারিত না। রেশম কুঠার কারবার যৎকালে বগুড়ায় ছিল, তখন বগুড়া জেলা হইয়া এখন যেমন জাক জমক হইয়াছে, এই প্রকার জাক জনক ছিল। তৎকালে নানা প্রকার বিবাদ বিসম্বাদ উপস্থিত হইলে আসজ্জম চৌধুরী আর বগুড়াবাসী কতকগুলি নিপীড়িত বারবণিতা পীর খার নামে কলিকাতায় গিয়া অভিযোগ করিলে পর, ঐ দুৰ্বত নাজিরের অপরাধ সপ্রমাণ হওয়ার পর নাজির কৰ্ম্মচু্যত ও কারারুদ্ধ হন। এই স্বত্রে বগুড়ার ম্যাজিষ্ট্রেট মেঃ বেণ্ডেন সাহেবও একবারে ডিসমিস্ হন। পীর র্থ নাজিরের অপর দৌরাত্ম্যের কথা বলিব। এইক্ষণ যে স্থলে সার্কেট হাউস আছে ঐ সার্কেট হাউসের উত্তর যে একটী পুষ্করিণী দেখা যায়, ঐ পুষ্করিণীটী পীর খা নাজির কেবল কায়স্থ ও ব্রাহ্মণগণ দ্বারা খনন করাইয়াছিলেন। সৰ্ব্বমত্যন্ত গৰ্হিতং । দেখ পীর খা নাজির অত্যন্ত বাড়াবাড়ি করিয়াছিল বলিয়া অবশেষে বেড়ি পড়িয়া ও মাট কাটিয়া কারাগারে বিষ্ট মূত্রে পরিপূর্ণ হইয়া মরিয়া গেল। পীর খা নাজির মরিলে পর উহার পরিবার কে কোথায় গেল এবং অন্যায় উপার্জিত ধন দৌলতই বা কোথায় রহিল তাহার কিছুই ঠিকানা হইল না। পীর খাঁ নাজির যদি লেখা পড়া জানিত ও সচ্চরিত্র হইত তাহা হইলে তাহার এরূপ দুৰ্গতি কখনই হইত না । ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের বাঙ্গালা গদ্য । বিদ্যান্থন্দরের ভূমিকা । ( ১লা আষাঢ়, ১২৬২ বাং । ) বঙ্গভাষা-ভূষিত প্রাচীন পন্থাপুঞ্জ এবং তত্তৎপ্ররচক পুরাতন কবিকদম্বের জীবন-চরিত সংগ্রহপূর্বক সাধারণের সুগোচর করণার্থ আমি প্রায় দশবৎসর পর্য্যন্ত প্রতিজ্ঞাপথের পথিক হইয়া প্রতিনিয়তই উৎসাহরথের চালনা করিতেছি এই বিষয়ের নিমিত্ত ধন মন জীবন পৰ্য্যন্ত পণ করিয়াছি সাংসারিক সমুদয় মুখ হইতে প্রায় বঞ্চিত হইয়াছি। নিয়তই আহার নিদ্রা ও আর আর কার্য্যের নিয়ম লঙ্ঘন করিতেছি। স্থলপথে ও জলপথে ভ্রমণ পূর্বক নানাস্থানী হইয়া নানা লোকের উপাসন করিতেছি। স্থানবিশেষে গমন পূৰ্ব্বক প্রার্থিত পদের ব্যাপারে কৃতকাৰ্য্য (১) টক্রাটক্রি =তর্কাতর্কি = বাদপ্রতিবাদ = বিরুদ্ধাচরণ। . 있었 bళ రిసి কাব্য-সংগ্রহে অসাধারণ শ্রম ।