পরিশিষ্ট—সমসের গাজির পুথি–১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগ । >b"Q(? নিদ্রা হতে আপনার চৈতন্ত না পাই । খেরি কৈল দুই জনে বহুত ডরাই ॥ উৎসবে করিল খেরি চন্দ্র কাটে নৌথ । শুনিয়া গাজির মনে জন্মিল কৌতুক। পুরস্কার। হাসিয়া ডাকিল গাজি দুজনে আসিতে। আসিয়া প্রণাম করে লুটিয়া ভূমিতে। গাজি বলে ভয় নাই কৈলে ভাল কাম । অবগু হইবে তোর জগতে খোসনাম। এ বলিয়া গাজি ঘোড়া দোলা মাঙ্গাইল । ঘোড়া দোলা উভয়েরে বকশিস করিল। ঘোড়া ও দোলায় চড়ি এথাতে আসিও । হাজামত করিতে তোরা ভয় না করিও ॥ রাস্ত আর পুষ্করিণীর চিঠি তাকে দিলা। গাজি বাড়ী লাগায়েত জাঙ্গাল বান্দিলা ॥ পাঁচ ছয় পুষ্করিণী তারা করিল খনিত। মিনা ভূমি পায় বহু গাজির নাপিত। দীঘির জল উচু ও নীচু। এথাতে কৈয়ারা দীঘি জলপূৰ্ণময়। ভাঙ্গিবে পশ্চিম পাড় সৰ্ব্ব লোকে কয় ॥ দেখিবারে গেল গাজি সৰ্ব্ব লোক-সঙ্গে । চারি পাড়ে ভ্রমণ করিলা মনরঙ্গে ॥ দক্ষিণ পাড়ে গিয়া দাড়াইলা তথা । গাজি পুছে সভাস্থলে হাসিয়া এ কথা ॥ কোন দিগে উচা জল নীচ কোন দিগে। সকলেতে বলে তুমি বল যেই দিগে। গাজিয়ে বলিল তোরা না কছিল বাণী। উত্তরে দেখেছি উচ সরোবর-পানী ॥ সবে বলে আমি সব দেখি হেন মত। গাজিয়ে বলিল তোরা বেকুব সতত । আল্লাকে না ডরি তোরা ডরিলি আমারে। জানিলাম বেদান হেন তোমরা সবারে । ,
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।