>b"Qし° গাজির বিদায়কালে ধন-বিতরণ । বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় । যেবা যাহা চাহে সেই গাজি দেন তারে টাকা কড়ি বস্ত্র দান করে গাজিবরে ৷ ভট্ট ব্রাহ্মণাদি যত ফকীরের গণ । খন্দকার খলিফা আর লেঙ্গুটিয়া গণ ॥ খয়রাত নিষ্কর মিনা দেবস্থলী ইতি। ব্রহ্মোত্তর দিলা সবে যার যেই নীতি ॥ প্রজাগণ সকলের অন্তায় খণ্ডাই। বিদায় মাগিল গাজি সকলের ঠাই ॥ ফিরে যদি আসি আমি তোমরা সবারে । মোর দেশে না রাখিব দরিদ্র কণহারে । এতেক শুনিল যদি গাজি-মুখে বাণী। সকলের দেহ-মধ্যে না রহিল প্রাণী ॥ ইষ্ট মিত্ৰ সবে মিলি বহু নিষেধিল । নিবন্ধের লিখা হেতু কিছু না শুনিল । দশ দিন পূৰ্ব্বে হল হেন অঘটন। অন্তঃপুরে বিষাদিত শুনি পরিজন ॥ নিৰ্ব্বাণের পূৰ্ব্বে বাড়ে প্রদীপের জ্যোতি। মরিতে না দেখে পথ উন্মাদ-আকৃতি ৷ যথাতে মরিব লোক তথা চলি যায়। উৎপাত করিয়া মন তনু আগে ধায় ॥ তবে গাজি নিকালিয়া ধন আপনার । করিলেক স্ত,প তাহ উদ্যান-মাঝার। তবে ডাকি নিজ-মাতা যুগল-রমণী। কত ধন আছে তার দেখায় আপনি ॥ এক দিগে তিন জন অন্ত দিগে গাজি । এত ধন জমে তার আল্লা যারে রাজি । মাতারে জিজ্ঞাসে গজি দেখনি আমারে । মায়ে বলে ধন-আড়ে না দেখি তোমারে ৷ নারীগণ প্রতি গাজি জিজ্ঞাসে তখন। সত্য করি বল মোরে দেখ কি এখন ॥ না দেখি তোমারে মোরা বলে নারীগণ । রাথিয়াছ উচ্চ করি মধ্যে এত ধন ৷
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।