পরিশিষ্ট—মায়া-তিমির-চন্দ্রিকা—১৮শ শতাব্দী। めbペが。 লোভের তাহাতে বাড়িল জোর, অস্থির করিল এখনে । লোভে মোহে দেখি বিষম বল, মদন তাহাতে প্রলয়ানল, জিনিব কিসেতে এরূপ দল, উপায় বলহু বিজনে ॥ এ ভবসংসার সিন্ধু অপার, লজিঘয়া কে পারে যাইতে পার, রাক্ষসী কামিনীকুল ইহার, ধরে যেন বায়ুনন্দনে । কি করি দুজনে বল উপায়, তরিব কেমনে শমন-দায়, রিপু পরাভব কিসেতে পায়, কি হবে এখন ক্রননে ॥ রামগতি বলে শুনহ সার, পরাবুদ্ধি কর বিচার, কেমনে ভবের হইবে পার, সুস্থির হইয়া আপনে । ত্যজহ সংসার অতি আসার, মুখ-ভোগ যত রতি বিহার, যতেক করিছ সব অসার, ভাবিয় দেখহ এখনে ॥ ইতি মায়া-তিমির-চন্দ্রিকায়াং জীব-চৈতন্ত্য-প্রসঙ্গে দ্বিতীয় কলা নাম দ্বিতীয় উল্লাস । তৃতীয় উল্লাস । মনের কথায় জীলে দেখিয়া কাতর। ধীরে ধীরে ধীরে তাহে করিছে উত্তর ॥ ধৰ্ম্ম বুদ্ধি হ’ক আর রাজ্যের সুসার। মোর নিবেদন শুন ধৰ্ম্ম অবতার ॥ সত্যপথ হিত নীত রাজ্যের বিচার। নিৰ্ভয়ে কহিব যাতে মঙ্গল রাজার ॥ " মনের উপদেশ ।
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।