পদাবলী—গোবিন্দ দাস—১৬শ শতাব্দী। )రి 8సి নিঝরে নয়নে সব সখীগণে খোজত বহে নিশ্বাস । তোহারি চরণে এতহু কহিতে ধাওল গোবিন্দ দাস ॥ যাহে লাগি গুরু-গঞ্জনে মন রঞ্জলু দুরজন কিয়ে নাহি কেল। যাহে লাগি কুলবতী-বরত সমাপল (১) লাজে তিলাঞ্জলি দেল । সজনি জানলু কঠিনু কঠিন পরাণ । ব্ৰজপুর পরিহরি যাওব সে হরি গুনইতে নাহি বাহিরান (২) ॥ যো মঝু সরস সমাগম-লালস মণিময় মন্দির ছোড়ি । কণ্টক-কুঞ্জে জাগি নিশি-বাসর পন্থ নেহরিত মোরি ॥ যাহে লাগি চলইতে চরণে পড়ল ফণী মণি-মঞ্জীর করি মানি । গোবিন্দ দাস ভণ কৈছন সো দিন বিছুরবা ইহ অনুমানি ॥ (৩) পিয়ার ফুলের বনে পিয়ার ভ্রমরা। পিয়া বিনে মধু না খায় ঘুরি বুলে তারা ॥ মো যদি জানিতাঙ পিয়া যাবেরে ছাড়িয়া । পরাণে পরাণ দিয়া রাখিতাঙ বান্ধিয়া ॥ কোন নিদারুণ বিধি মোর পিয়া নিল । এ ছার পরাণ কেনে অবহু রহিল ॥ মরম-ভিতর মোর রহি গেল দুখ । নিচয়ে মরিব পিয়ার না দেখিয়া মুখ ॥ এই খানে করিত খেলা বসিয়া নাগর-রাজ । কে বা নিলগো কিবা হৈল কে পাড়িল বাজ ॥ সে পিয়ার প্রেয়সী অামি আছি একাকিনী । এ ছার শরীরে রহে নিলজ পরাণী ॥ (১) কুলবতীর ব্রত সমাপন করিলাম। (২) প্রাণ বাহির হয় না। (৩) যে আমার মিলন আশায় মণিময় মন্দির ত্যাগপূর্বক আমার পথের দিকে চাহিয়া কণ্টক-কুঞ্জে সারা রাতি কাটাইত এবং যাহার জন্ত অভিসারে যাইতে আমার পদ সৰ্পে বেষ্টন করিলে উহা মণি-মঞ্জীর মনে করিতাম, সেই সব দিনের কথা কেমনে বিস্তৃত হইব, গোবিন্দ দাস তাহাই বিস্ময়ের সহিত চিন্তা করিতেছেন। যথা, কৃষ্ণকমলের পদে– “বধুর লাগি চলিতে চরণে বিষধর বেড়িত, মণিময় নূপুর মানি চাহিতাম না, সই, চরণ-পানে।” ססיל
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।