উজ্জ্বল-চন্দ্রিক। ১৭৮৫ খৃষ্টাব্দ । বৰ্দ্ধমান জেলায় গুস্করা ষ্টেসনের নিকটস্থ চানক-গ্রামনিবাসী শচীনন্দন বিদ্যানিধি হরিদত্তের আদেশে ১৭০৭ শকে (১৭৮৫ খৃঃ ) রূপ গোস্বামীকৃত উজ্জল-নীলমণির এই বঙ্গানুবাদ প্রণয়ন করেন। বীরভূম হইতে শ্ৰীযুক্ত শিবরতন মিত্র মহাশয় এই অংশ আমাকে সংগ্ৰহ করিয়া দিয়াছেন। প্রথম অধ্যায় । নায়কভেদপ্রকরণ । এই শ্লোক হয় গ্রন্থের মঙ্গলাচরণ। তিন প্রকার ব্যাখ্যা তাথে করেন মহাজন ॥ নামে রসজ্ঞের গণ কৈল আকর্ষণ । রসজ্ঞ শব্দে কহে ইহা ব্ৰজদেবীগণ ॥ সামান্তে ত স্বপৰ্য্যন্ত রসিক আকৰ্ষিলা । অতেব সর্বোৎকৃষ্ট হরি এই ধ্বনি হৈলা ॥ নিজপিতানন্দের ভাবের উদ্দীপন । নিজরূপে সভাকার আনন্দ কারণ ॥ সনাতন শব্দে কহে সচ্চিৎআনন্দ । সেই আত্মা যার সেই হয়েন গোবিন্দ ॥ এইত প্রথম অর্থ করিল প্রচার। সনাতন পক্ষ আছে গেীর পক্ষ আর ॥ সে সব ব্যাখ্যাতে গ্ৰন্থ হয়েত বিস্তার। সেই ভয়ে এই অর্থনা করি প্রচার ॥ মধুর ভক্তিরসরাজলক্ষণ । পূৰ্ব্ব গ্রন্থে বর্ণিয়াছেন মুখ্য রসগণ। বিস্তারি মধুর রস ন কৈল বর্ণন ॥ বড়ই রহস্ত তাহা ইহা বিস্তারিলা । কেহ কেহ পাণ্ডিত্যের শক্তিতে বুঝিলা ॥
পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।