চৌষট্টি দিবসে হরি বিদ্যা যে সংগ্রহ করি
একে একে চৌষট্টি প্রকার।
দেখি মুনি মহাশয় হইলেন সবিস্ময়
মনে কত করেন বিচার॥
দারুণ বিদ্যা অভ্যাস করিলেন শ্রীনিবাস
সন্দীপণি পাঠ দিতে নারে।
ব্যাসপুত্ত্র শুক বলে বসিয়া নির্জ্জন স্থলে
মহামুনি দেখে যোগভরে॥
কৃষক-কবি কাবেল-কামিনী।
১৯শ শতাব্দীর প্রথম ভাগ।
এই নিরক্ষর স্ত্রী-কবির বিশেষ বিবরণ ১৩১২ বাং সনের ২য় সংখ্যক সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকার ৭২-৭৩ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য। কাবেল-কামিনীর নিবাস খুলনা জেলায় হোগলা পরগণার অন্তর্গত জপসা গ্রামে ছিল।
(১)
আস্মানে উঠেছে শ্যামার গায়ের
আলো ফুটে।
তাই দেখ্তে সভে সাঁঝের কালে লোক এল ছুটে,—
বেটির বেগার বেড়াই খেটে॥
কত সকল কত রশ্মি শ্যামা মায়ের পায়।
ধানের ক্ষেতে ঢেউ উঠিয়ে কালী
কালের ঢেউ দেখায়॥
(২)
ফুট্ল ফুল কালা-বেটির পা’র-পর।
তার মূল রয়েছে আকাশের পর, এ ফুলের তলাস করে কে বল॥
সে যে রক্তজবা রাঙ্গাকালি এক বোঁটায় দুই ফুল ধরে,
কত পথ-পাথালি রাজা-প্রজা কাবেলা খোঁজে তারে।