শীতের দাপে পরাণ কাঁপে নড়ছে মাথার চুল।
মা বাপের গোলা ভর্বে ধানের ফুট্বে হুল॥
(৭)
আমের ডালে মুকুল দোলে থোপা কচি পাতা।
বরের গায়ে হলুদ দিয়ে খাব সতীনের মাথা॥
শীতের ভয়ে জড়সড় আমরা দুটী বোনে।
দাদার কাছে বসে বউ হাস্ছে ঘরের কোণে॥
দেখে যা লো দেখে যা লো ওরে পড়শীর ঝী।
কুয়োর মাঝে ফুট্লে ছবি তোরা কর্বি কি॥
(৮)
যারে কোকিলা তুই আমার পতি গেছে যে দেশে।
অমন করে জ্বালাতন করিস্ নে আর নিত্যি এসে॥
শুনে তোর কুহুস্বর, উষ্কে উঠে প্রাণ আমার,
প্রাণপতি মোর দেশান্তর, ছাড়্গে তথায় তোর কুহুস্বর,
কাচা বুকে লাগ্লে আঘাত পাইনে কোন দিশে॥
(৯)
তামাক খেয়ে গেলে না রে কবিরাজ কত দুঃখ মনে যে রৈল।
ঐ যে চাঁদের পাশে তারা হাসে তেঁতুল-পাত শুকাল॥
মরা গাঙ্গে কুমীর ভাসে শুকায় সুঁদির ফুল।
এই ভরা কালে হলেম রাঁড়ী কবিরাজ যৌবনে ফুট্ল ফুল॥
দরদী নিগম কথা শুন্লি নে হেলায়,
আমি অচল পয়সা হলাম ভবের বাজারে,
তোরা বুঝ্লি নে দেখ্রে বেলা যায়॥
শিব-দুর্গার প্রাচীন গান।
(১)
গিরি আমার মনের এই বাসনা।
আমি জামাতা সহিতে আনিব দুহিতে,
গিরিপুরে কর্ব শিব-স্থাপনা॥
ঘর-জামাই করে রাখ্ব কৃত্তিবাস,
গিরিপুরী হবে দ্বিতীয় কৈলাস,