পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO বঙ্গ-গৌরব সঞ্জীবচন্দ্রের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। ১২৮৫-র চৈত্রসংখ্যাটি প্রকাশের পর এটি আবার বন্ধ হয়ে যায়। এক বৎসর বন্ধ থাকার পর ১২৮৭-র বৈশাখ থেকে আবার বেরুতে শুরু করে। ১২৮৮ তে আবার অনিয়মিত হয়ে পড়ে। আশ্বিন সংখ্যা বেরুতে চৈত্র গড়িয়ে যায়। ১২৮৮-র কীর্তিক থেকে চৈত্র কোনো সংখ্যাই প্ৰকাশিত হয়নি। ১২৮৯ এর বৈশাখ সংখ্যাটি নবম বর্ষের ১ম সংখ্যা হিসেবেই প্ৰকাশিত হয়। ১২৮৯ এর চৈত্র সংখ্যাটি প্রকাশিত হবার পর সঞ্জীবচন্দ্ৰ পত্রিকাটি সম্পাদনার দায়িত্ব ত্যাগ করেন। ১২৯০-র কীর্তিক মাস থেকে পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন শ্ৰীশচন্দ্র মজুমদার। চন্দ্রনাথ বসু তাকে সম্পাদনার কাজে সাহায্য করতেন। ১২৯০-র পর পত্রিকাটির প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়। (তথ্যসূত্ৰ-সংবাদ-সাময়িক পত্রে উনিশ শতকের বাঙালি সমাজ।। ২য়-স্বপন বসু) ২৬. বন্দেমাতরম ; বন্দেমাতরম গানটির রচনাকাল কবে তা স্থির করা কঠিন। তবে গবেষক অধ্যাপক অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য মন্তব্য করেছেন, “বঙ্গদর্শনে ১২৮১ এর কীর্তিক সংখ্যায় কমলাকাস্তের দপ্তরের অন্তর্গত আমার দুর্গোৎসব, শীর্ষক নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়। এই নিবন্ধে মাতৃমূর্তিকে যেভাবে বন্দনা করা হয়েছে তারই কি কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত রূপ নয়। “বন্দেমাতরম' মন্ত্রখানি ? বোধহয় ‘আমার দুর্গোৎসব, রচনার স্বল্পকালের মধ্যেই বন্দেমাতরম' সঙ্গীত রচিত হয়েছিল।” (বঙ্কিমচন্দ্র জীবনী পৃ. ৩৩২) শ্ৰীঅরবিন্দও তার একটি লেখায় বলেছিলেন বন্দেমাতরম' সঙ্গীত ১৮৭৪-৭৫ খ্রিস্টাব্দে রচিত হয়েছিল। ২৭. প্ৰয়াণ ঃ ১৩৩০ বঙ্গাব্দের ২৬ চৈত্র অর্থাৎ ১৮৯৪ এর ৮ এপ্রিল অপরাস্তু তিনটে পাঁচশ মিনিটের সময় স্বগৃহে তিনি লোকান্তরিত হন। কৃষ্ণদাস পাল ১-২ ওরিয়েন্টাল সেমিনারি ও গীেরমোহন আঢ্য ; মধ্য কলকাতার চিৎপুর অঞ্চলে সামান্য লেখাপড়া জানা অথচ বিদ্যোৎসাহী গৌরমোহন আঢ্য ছোট আকারে ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ একটি পাঠশালা স্থাপন করেন। পরে এটি বটতলার চন্দ্ৰ মিত্রের বাড়ি থেকে গোরাচাঁদ বসাকের বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়। এদেশীয়রা যাতে ইংরেজি শিক্ষা পান, সেজন্য তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ইংরেজি শিক্ষার জন্য এদেশের ছাত্রদের খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের প্রতিষ্ঠিত স্কুলে যেতে হােত। সেখানে মিশনারিদের প্রচারিত ধর্মের প্রভাব যথেষ্ট পড়ত। তাই ধর্মপ্রভাব মুক্ত উচ্চ ইংরেজি স্কুল স্থাপন বাংলা দেশের শিক্ষা জগতে গীেরমােহনের এক বিশেষ অবদান। তখনকার দিনের বিশিষ্ট মনীষীবৃন্দ অর্থাৎ কৃষ্ণদাস পাল, সাংবাদিক গিরিশচন্দ্র ঘোষ, উমেশচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়, কৈলাসচন্দ্র বসু, গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, অক্ষয়কুমার দত্ত, এমনকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন গৌরমোহন নিচের ক্লাসে ফিরিঙ্গি, মাঝের ক্লাসে বাঙালি ও উঁচু ক্লাসে উচ্চশিক্ষিত ইংরেজ ও বাঙালি শিক্ষক নিযুক্ত করতেন। ৩. রেভারেণ্ড মরগ্যান ও পেরেস্টাল অ্যাকাডেমির (ডভূটন কলেজের) অধ্যক্ষ ছিলেন মি মরগান। সম্ভবত পুরো নাম রেভারেণ্ড অ্যাণ্ডু মরগান।