“তোমার পিতা কি করেন?”
অবস্থাবৈগুণ্যে সুরেন্দ্র নূতন ধাঁচ শিখিয়াছিল— একটু জড়াইয়া জড়াইয়া বলিল, “সামান্য চাকরি করেন।”
“তাতে চলে না, তাই তুমি উপার্জ্জন করিতে চাও?”
“হাঁ।”
“এখানে কোথায় থাক?”
“কোন নির্দ্দিষ্ট স্থান নাই— যেখানে সেখানে।”
ব্রজবাবুর দয়া হইল! সুরেন্দ্রকে কাছে বসাইয়া তিনি বলিলেন, “তুমি এখনও বালক মাত্র। এই বয়সে বাড়ী ছাড়িয়া আসিতে বাধ্য হইয়াছ বলিয়া দুঃখ হইতেছে। আমি নিজে যদিও কোনও চাকরি করিয়া দিতে পারি না, কিন্তু যাহাতে কিছু যোগাড় হয়, তাহার উপায় করিয়া দিতে পারি।”
সুরেন্দ্রনাথ “আচ্ছা” বলিয়া চলিয়া যাইতেছে দেখিয়া, ব্রজবাবু তাহাকে ফিরাইয়া বলিলেন, “আর কিছু তোমার জিজ্ঞাসা করিবার নাই?”
“না।”
“ইহাতেই তোমার কাজ হইয়া গেল? কি উপায় করিতে পারি, কবে করিতে পারি— কিছুই জানিবার প্রয়োজন বিবেচনা করিলে না?”
সুরেন্দ্র অপ্রতিভ হইয়া ফিরিয়া দাঁড়াইল। ব্রজবাবু সহাস্যে বলিলেন, “এখন কোথায় যাইবে?”
“কোন একটা দোকানে।”
“সেইখানেই আহার করিবে?”