“কেন রে?”
“আপনি অমন ক’রে বাড়ীর ভিতর গিয়েছিলেন কেন?
“যেতে নেই, না?”
“তা কি যেতে হয়? দিদি খুব রাগ করেছে।”
সুরেন্দ্র পুস্তকখানা বন্ধ করিয়া বলিল, “তাই ত–।”
তার পর একদিন দুপুরবেলা মেঘ করিয়া বড় জল আসিল। ব্রজরাজবাবু আজ দুদিন হইল বাড়ী নাই; জমিদারি দেখিতে গিয়াছিলেন। মাধবীর হাতে কিছু কাজ ছিল না; প্রমীলাও বড় উপদ্রব করিতেছিল, মাধবী তাহাকে ধরিয়া, কহিল, “প্রমীলা, তোর বই নিয়ে আয়, দেখি কত পড়েচিস্।”
প্রমীলা একেবারে কাঠ হইয়া গেল। মাধবী বলিল, “নিয়ে আয়।”
“বড়দিদি, রাত্তিরে আনব।”
“না, এক্ষণি আন্।” নিতান্ত দুঃখিত-মনে তখন সে বই আনিতে গেল। আনিয়া বলিল, “মাষ্টারমশাই কিছুই পড়ায়নি– খালি আপনি পড়ে।” মাধবী জিজ্ঞাসা করিতে বসিল। আগাগোড়া জিজ্ঞাসা করিয়া বুঝিল যে, সত্যই মাষ্টারমশায় কিছুই পড়ান নাই; অধিকন্তু সে যাহা শিখিয়াছিল, শিক্ষক নিযুক্ত করার পর, এই তিন চারি মাস ধরিয়া বেশ ধীরে ধীরে, সবটুকু ভুলিয়া গিয়াছে। মাধবী বিরক্ত হইয়া বিন্দুকে ডাকিয়া কহিল, “বিন্দু, মাষ্টারকে জিজ্ঞাসা ক’রে আয় ত, কেন প্রমীলাকে এতদিন একটুও পড়ান্নি।”
বিন্দু যখন জিজ্ঞাসা করিতে গেল, মাষ্টার তখন “প্রব্লেম্”