মাধবী কথা কহিল না। তবে ব্রজবাবু একাকী সুরেন্দ্রকে দেখিতে আসিলেন। দেখিয়া বড় দুঃখ হইল, কহিলেন, “সুরেন, তোমার পিতামাতাকে সংবাদ দিলে হয় না?”
“সংবাদ দিয়েছি।”
“কোন ভয় নেই, তাঁরা আস্লেই একটা বন্দোবস্ত ক’রে দেব।”
ব্রজবাবু টাকা কড়ির জন্য চিন্তা করিয়া কহিলেন, “বরং আমাকে তাঁদের ঠিকানা বলে দাও, যাতে তাঁদের এখানে আসার পক্ষে কোনরূপ অসুবিধা না হয়, তা করে দেব।”
সুরেন্দ্র কথাটা তেমন বুঝিল না। বলিল, “বাবা আস্বেন, অসুবিধা আর কি আছে?”
ব্রজবাবু বাটী ফিরিয়া মাধবীকে সমস্ত সংবাদ জ্ঞাত করাইলেন।
সেই অবধি নিত্য তিনি একবার করিয়া সুরেন্দ্রকে দেখিতে যাইতেন। তাহার উপর একটা স্নেহ জন্মিয়াছিল। একদিন ফিরিয়া আসিয়া বলিলেন, “মাধবী, তুমি ঠিক বুঝেছিলে, সুরেনের পিতা বেশ অর্থবান্ লোক।”
মাধবী আগ্রহে জিজ্ঞাসা করিল, “কেমন ক’রে জান্লে?”
“তার পিতা একজন বড় উকিল; কাল রাত্রে তিনি এসেছেন।”
মাধবী মৌন হইয়া রহিল। তাহার পিতা কহিলেন, “সুরেন বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিল।”
“কেন?”
ব্রজরাজবাবু কহিলেন, “তাহার পিতার সহিত আজ আলাপ হইল। তিনি সে কথা সমস্ত বলিলেন। এই বৎসর পশ্চিমের বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্ব্বোচ্চ সম্মানের সহিত সুরেন এম্, এ পাশ করিলে,