পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রথম পুত্তলিকা।

পণ্ডিত নহি, আমার গৃহে পদ্মিনী রাণী নাই, কিম্বা আমি রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ, এবং রাজ্য শাসনে অক্ষম ইহার কোন বিষয়ে তোমরা আমাকে হীন বিবেচনা করিয়াছ। অতএব আমাকে হাস্যের হেতু প্রকাশ করিয়া বল। ভোজরাজের এই কথা শুনিয়া


রত্নমঞ্জরী প্রথম পুত্তলিকা

কহিল, মহারাজ, আমি এক উপাখ্যান বলি শ্রবণ কর। আপনার গুণ আপনি প্রকাশ করিলে গুণবান, পুরুষকেও নিগুণ বলিয়া ব্যাখ্যা যায়, ইন্দ্রও আপন গুণ আপনি কহিলে লঘু হয়েন, অন্য লোকে যে প্রশংসা করে সেই প্রশংসাই যথার্থ। তুমি বাস্তবিক গুণবান, ও মর্যাদাবান, বট এবং যাহা কহিলে তাহাও যথার্থ বটে, কিন্তু এতাদৃশ অহঙ্কার করা উচিত নহে। এই পৃথিবী অতি বিস্তৃত, পরমেশ্বর এই পৃথিবীকে রত্নগত্তা করিয়াছেন, এই পৃথিবীতে নানা গুণের মনুষ্য আছে, তুমি যে মহামোহান্ধকারে রহিয়াছ, তাহা কিছুই জানিতেছ না। হে অজ্ঞান তোমার ন্যায় কোটি কোটি মনুষ্য এই পৃথিবীতে জন্মিয়াছে। যে রাজা এই সিংহাসনের স্বামী ছিলেন তোমার ন্যায় তাহার যে কত শত ক্ষুদ্র ভূত ছিল তাহার সঙ্খা নাই, অতএব তুমি কিসের অহঙ্কার করিতেছ।

 এই কথায় রাজা জ্বলদগ্নিপ্রায় ক্রুদ্ধ হইয়া পুত্তলিকাকে কহিলেন তোমার বড় আস্পর্ধা দেখিতেছি,