পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৮
বত্রিশ সিংহাসন

লাগিল, রাজা কিনির্বোধের কর্ম্ম করিলেন, পুত্তলিকার বাক্যে অবহেলন করিয়া কেন সিংহাসনে পদার্পণ। করিলেন। তখন ভােজরাজ মনে মনে বড়ই লজ্জিত হইলেন। পুত্তলিকা কহিল অরে মুখ তুমি আমার বাক্য শুনিলেন, তাহার এই প্রতিফল পাইলে, এখন তােমার দশা কি হইবে। ভােজরাজ বলিলেন আমার উদ্ধারের উপায় বল। পুত্তলিকা বলিল তুমি, রাজা বিক্রমাদিত্যের নাম স্মরণ কর, তাহা হইলে এই বিপদ হইতে পরিত্রাণ পাইবে। ইহা শুনিয়া ভােজরাজ বিক্রমাদিত্যের যােবন করিতে লাগিলেন। তাহাতে সিংহাসন হইতে হস্ত স্বতন্ত্র হইল, এবং অন্ধতা ও উন্মত্ততা দুর হইল। তদনন্তর রাজা অতিশয় ভীত হইয়া সিংহাসন হইতে অবতরণ পূর্ব্বক নীচে দাড়াইলেন। তখন সভাস্থ সমস্ত লােক বলিল এই কলিযুগে রাজা বিক্রমাদিত্যের তুল্য হওয়া কঠিন। পুত্তলিকা বলিল আমি এই জন্যই নিষেধ করিয়াছিলাম, হে ভােজরাজ তুমি আমার কথা অলীক জ্ঞান করিও না। তুমি বিদ্যা শিক্ষা করিয়াছ বটে, কিন্তু জ্ঞান এক স্বতন্ত্র পদার্থ, তাহা ভােমার নাই। তুমি বিক্রমাদিত্যকে আপনার তুল্য বিবেচনা করিওনা। তিনি দেবতুল্য মনুষ্য ছিলেন, ততুল্য জ্ঞান ও তপস্যা তােমার নাই। অতএব তুমি আর এই সিংহাসনোপবেশনে আশা করিওনা, ইহা তােমার দুরাশা মাত্র। পৃথিবীতে আর আর অনেক কর্ম্ম আছে তাহা কর এবং যাহাতে তােমার