পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় পুত্তলিকা।
৩৩

কার ও এক কুম্ভকার আছে, তাহারা তােমার প্রাণনাশের মন্ত্রণা করিয়াছে। তাহারা দুজন এবং তুমি এই তিনের মধ্যে যে ব্যক্তি দুই জনকে সংহার করিতে পারিবেক সেই ব্যক্তি নিৰ্বিঘে রাজ্য-ভােগ করিবেক। কুম্ভকার যােগী হইয়া অরণ্যে যােগ সাধন করিতেছে। তৈলকার পাতালে রাজ্য করিতেছিল এবং মনে মনে স্থির করিয়াছিল তােমাকে আর যােগীকে বিনাশ করিয়া ত্রিলােকের অধীশ্বর হইবেক। কিন্তু যােগী তাহাকে সংহার করিয়া তাহার শব শিরীষ বৃক্ষে লম্বমান করিয়া রাখিয়াছে। এক্ষণে মনে মনে এই স্থির করিয়াছে তােমাকে নষ্ট করিয়া তৈলকটাহে নিক্ষেপ পূর্ব্বক মহাদেবীর নিকট বলি দিয়া নিশ্চিন্ত রাজ্য ভােগ করিবেক। তুমি এ সকল বৃত্তান্ত কিছুই অবগত নহ, অতএব আমি তােমাকে সতর্ক করিলাম, ইহাতেই তােমাকে প্রাণদান দেওয়া হইল। তুমি এই দুই শত্রু হইতে আপনাকে সতত রক্ষা করি ও। সম্প্রতি তােমাকে আমি এক উপদেশ দিতেছি, ঐ যােগী তােমাকে ছলনাখ নিমন্ত্রণ করিয়া লইয়া যাইবেক। নিমন্ত্রণ করিলে তুমি অবশ্যই যাইবে। কিন্তু যখন ঐ যােগী তােমাকে দেবীর সম্মুখে দণ্ডবৎ হইয়া প্রণাম করিতে বলিবেক তখন তুমি তাহা না করিয়া তাহাকে কহিও, আমি পৃথিবীর দণ্ডধর, কাহাকে কখন দণ্ডবৎ প্রণাম করি নাই, অতএব কি প্রকারে দণ্ডবৎ হইয়া প্রণাম করিতে হয় আমাকে দেখাইয়া দাও, আমি সেই প্রকার প্রণাম