পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দশম পুত্তলিকা।
৭৭

অধীর হইতেছ, মনঃ স্থির করিয়া আমাকে সবিশেষ বল, কোন ব্যক্তির জন্য এমত শােকাকুলিত হইয়াছ, এবং এখানে আসিবার অভিপ্রায়ইবা কি। এই জিজ্ঞাসায় ঐ ব্যক্তি এক দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিল,কলিঙ্গ দেশে আমার বসতি, আমি অতি নির্বোধ মতিহীন। আমাকে কোন তপস্বী বলিয়াছিলেন, কোন স্থানে এক পরম সুন্দরী রাজকন্যা আছে, সে সাক্ষাৎ কামদেবের কামিনী, এবং ততুল্যা ত্রিভুবন-মােহিনী ত্রিলােকের মধ্যে আর নাই। আমি এই ত্রিভুবন-মােহিনীর উদ্দেশে গমন করিয়া ছিলাম, কিন্তু তাহার আশায় নিরাশ হইয়া আসিয়াছি। ঐ ভুবন-মােহিনীর জন্য লক্ষ লক্ষ ভূপতি ভস্মীভূত হইতেছেন। রাজা জিজ্ঞাসিলেন তাহারা কি রূপে ভস্ম হইতেছেন। বিরহী কহিল ঐ রাজকন্যার জনক এক কটাহে ঘূত উত্তপ্ত করিয়া রাখিয়াছেন, এবং এই প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন ঐ প্রত্বলিত-ঘূত-কটাহে অবগাহন করিয়া যিনি জীবিতবান উঠিবেন তাহাকে কন্যা সম্প্রদান করিবেন। রাজকন্যার পাণিগ্রহণাভিলাষে লক্ষ লক্ষ ভূপতি তথায় যাইতেছেন, কেহবা সেই কটাহ দর্শনে নিরাশ হইয়া ফিরিয়া আসিতেছেন, কেহবা কন্যা-লাভের উৎকট আকাঙ্ক্ষায় উত্তপ্ত কটাহে পড়িয়া প্রাণ ত্যাগ করিতেছেন। আমি এই ব্যাপার দেখিয়া চমৎকৃত হইয়া আসিয়াছি, এবং ঘেক্ষণ অবধি রাজকন্যার রূপ লাবণ্য অবলােকন করিআছি সেইক্ষণ অবধি হতবুদ্ধি হইয়া, তাহার প্রেমে