মাঙ্গলিক
প্রাণের পাথেয় তব পূর্ণ হােক, হে শিশু-চিরায়ু,
বিশ্বের প্রসাদস্পর্শে শক্তি দিক্ সুধাসিক্ত বায়ু।
হে বালকবৃক্ষ, তব উজ্জ্বল কোমল কিশলয়।
আলােক করিয়া পান ভাণ্ডারেতে করুক সঞ্চয়
প্রচ্ছন্ন প্রশান্ত তেজ। লয়ে তব কল্যাণকামনা
শ্রাবণবর্ষণযজ্ঞে তােমারে করিনু অভ্যর্থনা।-
থাকো প্রতিবেশী হয়ে, আমাদের বন্ধু হয়ে থাকো।
মমাদের প্রাঙ্গণে ফেলো ছায়া, পথের কঙ্কর ঢাকো
কুসুমবর্ষণে; আমাদের বৈতালিক বিহঙ্গমে
শাখায় আশ্রয় দিয়াে; বর্ষে বর্ষে পুষ্পিত উদ্যমে
অভিনন্দনের গন্ধ মিলাইয়াে বর্ষাগীতিকায়,
সন্ধ্যাবন্দনার গানে। মােদের নিকুঞ্জবীথিকায়
মঞ্জুল মর্মরে তব ধরিত্রীর অন্তঃপুর হতে
প্রাণমাতৃকার মন্ত্র উচ্ছ্বসিবে সূর্যের আলােতে।
শত বর্ষ হবে গত, রেখে যাব আমাদের প্রীতি
শ্যামল লাবণ্যে তব। সে যুগের নূতন অতিথি
বসিবে তােমার ছায়ে। সেদিন বর্ষণমহােৎসবে
আমাদের নিমন্ত্রণ পাঠাইয়ে তােমার সৌরভে
দিকে দিকে বিশ্বজনে। আজি এই আনন্দের দিন
তােমার পল্লবপুঞ্জে পুষ্পে তব হােক্ মৃত্যুহীন।
রবীন্দ্রের কণ্ঠ হতে এ সংগীত তােমার মঙ্গলে
মিলিল মেঘের মন্দ্রে, মিলিল কদম্বপরিমলে॥
১৪৮