বনবাণী ১৩৩৮ সালের আশ্বিন মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়। বনবাণী, নটরাজ-ঋতুরঙ্গশালা, বর্ষামঙ্গল ও বৃক্ষরোপণ-উৎসব, নবীন- কাব্যখানি এই চারি অংশে বিভক্ত ছিল; বর্তমান সংস্করণের সর্বশেষে ‘বসন্তউৎসব’ নূতন সংযোজিত হইল। মূল পাণ্ডুলিপি, পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন পাঠ এবং প্রথম মুদ্রণ মিলাইয়া বর্তমান মুদ্রণে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও রচনার স্থান কাল -সম্বন্ধীয় তথ্য সংযোজন করা হইল। বনবাণীর বিভিন্ন অংশের রচনা সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কতকগুলি তথ্য নিম্নে সংকলিত হইল।
বনবাণী
‘শাল’ কবিতার ভূমিকায় এবং প্রথম স্তবকের শেষভাগে ‘কিশোর কবিবন্ধু’ ও ‘কিশোর বন্ধু’ বলিয়া যাঁহার উল্লেখ আছে, তিনি পরলোকগত কবি সতীশচন্দ্র রায় (বাংলা: মাঘ ১২৮৮-মাঘী পূর্ণিমা ১৩১০)। শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্য-বিদ্যালয়ের প্রথম দিকের ইতিহাসের সহিত তাঁহার অচিরায়ু জীবনের ইতিহাস জড়িত, ইহা রবীন্দ্রনাথের ভূমিকাতেই আভাসিত হইয়াছে।
‘কুটিরবাসী’ কবিতার ভূমিকায় ‘তরুবিলাসী’ ‘তরুণ বন্ধু’ বিশেষণে শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক শ্রীতেজেশচন্দ্র সেনকে লক্ষ্য করা হইয়াছে।[১] পাণ্ডুলিপিতে এই কবিতার আরম্ভে অতিরিক্ত তিনটি স্তবক দেখা যায়-
বাসাটি বেঁধে আছ মুক্তদ্বারে
বটের ছায়াটিতে পথের ধারে।
সমুখ দিয়ে যাই- মনেতে ভাবি,
তােমার ঘরে ছিল আমারাে দাবি,
- ↑ বনবাণী কাব্যের ভুমিকাটি তেজেশচন্দ্র সেনকে লেখা একখানি পত্রের পরিমার্জিত রূপ। দ্রষ্টব্য: ‘গাছপালার প্রতি ভালোবাসা’, প্রবাসী। বৈশাখ ১৩৩৪।