পাতা:বনবাণী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৮১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
গ্রন্থপরিচয়

নটরাজ কাব্যে প্রাক্‌কালীন যে রচনাগুলি সংকলিত হইয়াছে তাহারও তালিকা দেওয়া গেল—

হৃদয় আমার, ঐ বুঝি তোর বৈশাখী ঝড় আসে
শ্রাবণ, তুমি বাতাসে কার আভাস পেলে[]
শিউলি-ফোটা ফুরালো যেই শীতের বনে
শীতের হাওয়ার লাগল নাচন

নটরাজ কাব্যের কয়েকটি পাঠান্তর নিম্নে দেওয়া গেল।

। ১। শেষ মিনতি

কেন পান্থ, এ চঞ্চলতা,
শূন্য গগনে পাও কার বারতা।
নয়ন অতন্দ্র প্রতীক্ষারত
কেন উদ্‌ভ্রান্ত অশান্ত-মত—
কুন্তলপুঞ্জ অযত্নে নত,
ক্লান্ত তড়িৎবধূ তন্দ্রাগতা।
ধৈর্য ধরো, সখা, ধৈর্য ধরো—
দুঃখে মাধুরী হোক মধুরতর—
হেরো গন্ধনিবেদনবেদনসুন্দর
মল্লিকা চরণতলে প্রণতা।

—বিচিত্রা, আষাঢ় ১৩৩৪

। ২। বিলাপ

আজি এ নূপুর তব যে পথে বাজিয়ে চল
চিহ্ন কেমনে তার আপনি ঘুচাবে বলল।

১৮১
  1. পুরাতন রচনার নুতন রূপ;সুরও পৃথক।
    তুলনীয়: শ্যামল ছায়া, নাই বা গেলে।
    অথবা: শ্যামল শোভন শ্রাবণ, তুমি নাই বা গেলে।
    —গীতবিতান।