এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বনবাণী
অশােকের রেণুগুলি
রাঙাইল যার ধূলি
সেখানে শিশিরে তৃণ করিবে কি ছলােছলে।
পাতা পড়ে, ফুল ঝরে, যায় ফাগুনের বেলা―
দখিনবাতাস যায় শেষ করি শেষ খেলা।
তার মাঝে অমৃত কি
ভরিয়া রহে না সখী।
স্বপনের মালা-সম তারাে স্মৃতি টলােমলাে।
—পাণ্ডুলিপি
চরণরেখা তব যে পথে দিলে লেখি
চিহ্ন আজি তারি আপনি ঘুচালে কি।
অশােকরেণুগুলি
রাঙালাে যার ধূলি
তারে যে তৃণতলে আজিকে লীন দেখি?
ফুরায় ফুল ফোটা, পাখিও গান ভােলে
দখিনবাযু সেও উদাসী যায় চলে।
তবু কি ভরি তারে
অমৃত ছিল না রে।
স্মরণ তারাে কি গাে মরণে যাবে ঠেকি।[১]
১৯ ফাল্গুন ১৩৩৩
—বিচিত্রা, আষাঢ় ১৩৩৪
। ৩। চঞ্চল
প্রজাপতি, আপন ভুলি ফিরিস ওরে
ফুলের দলে দুলি দুলি কিসের ঘরে।
হাওয়ার বুকে যে চঞ্চলের গােপন বাসা
আকাশে তুই বয়ে বেড়াস তারি ভাষা-
১৮২
- ↑ রচনাকালে এবং বিচিত্রায় প্রকাশকালে বসন্তের গীতপর্যায়ে সন্নিবেশিত ছিল।