পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y বনে-পাহাড়ে —এক জনের নাম সামান কুই, একজনের নাম বুথুন কুই-কুই অর্থাৎ মেয়ে । --বেশ নাম । ওরা কি খাবে ? -শুধু ভাত । না ডাল, না তরকারী, ও সব খেতে জানে না q乙死对1 --সারাদিনে কি রোজগার করে ? || N1ےtiة byt3سس -এতেই সন্তুষ্ট থাকে ? -খুব । একটু পরে দেখবেন গান করবে। সবাই এক সঙ্গে । ওদের মত অল্পে সন্তুষ্ট জাত নেই । মিথ্যা কথা বলতে জানে না, অত্যন্ত সরল। সভ্যতার সম্পর্কে যারা এসেছে, তারা সবাই দুষ্ট, বদমাইস হয়ে গিয়েচে । কোন টাউন বা কারখানার নিকটে যে সব হো বা ওঁরাও বাস করে, প্ৰায়ই সব খারাপ। কিন্তু এ বনের মধ্যে ५द्ध ऊाडारुठ नद्धव्य, अडारठ म९ । ওদের মুখের দিকে চাইলেই সে কথা বোঝা যায়। ছেলেমানুষের মত পবিত্র, সরল, নিষ্পাপ মুখশ্ৰী। সরলতা ও নির্লোভতা। ওদের মুখে সুকুমার রেখার অক্ষরে লেখা রয়েচে । মিঃ সিংহ বল্লেন-আর একটা মজা, এরা বেশি রোজগার করতে চায় না। দিনের সামান্য মজুরি হাতে পেলেই খুসি। আর কিছুতেই কোনো প্ৰলোভনেই সেদিন খাটতে চাইবে না। এক জায়গায় সবাই গোল হয়ে বসে চেটাই বুনবে, গান গাইবে। কিন্তু রাচী সহরে গিয়ে এদের দেখুন, অন্যরকম দেখবেন। আমরা এগিয়ে গিয়ে একটা বড় ঝর্ণার কাছে এলাম। ঝর্ণার এক দিকে বঁধে বাঁধা। বর্ষাকালে এখানে একটা পুকুরের সৃষ্টি হয়। মিঃ সিংহের মুখে শুনলাম, এটাই মাছ ধরার বঁাধ । কোথা থেকে মাছ আসে একথা আমি জিজ্ঞেস করিনি । তখন সে সব তুচ্ছ প্রশ্নের অবকাশও ছিল না। সন্ধ্যার অন্ধকার চারিদিকে অরণ্যের অলি-গলিতে, সুড়ি পথে ঘন হয়ে নামচে ।