পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\eዓ বনে-পাহাড়ে আমি প্ৰথম চাকুরী নিয়ে যাই সারাণ্ড ফরেষ্ট । সে বন এর চেয়েও ভীষণ ।। ৪০০ বৰ্গ মাইল অরণ্যানী, এর মধ্যে খানকয়েক বন্য গ্ৰাম আছে। বন-বিভাগের কাজকৰ্ম্মের মজুরের জন্যে গবৰ্ণমেণ্ট জমি দিয়ে লোক বসিয়েছে। না দেখলে সে বিরাট অরণ্যের ধারণা হয় না। --তারপর, আপনার অভিজ্ঞতা বলুন শুনি। -সে এক গল্প। এখন খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিই চলুন। আজ আমাদের চিটিমিটি যেতে হবে । বৌদিদি তৈরি হয়ে নিন। -চিটিমিটি কতদূর ? -এখান থেকে ৪০18৫ মাইল পাহাড় ও বনের পথ । সকাল সকাল বেরুতে হবে। পথে আমার প্রথম চাকুরী জীবনের গল্প করতে করতে যাবো।--আপনাদের লেখার খোরাক হবে । বেলা দুটোর পরেই আমরা জিনিসপত্র বেঁধে ছেদে মোটরে উঠিয়ে -झैं९3न्मा 6ठूपंक्राभि । চিটিমিটি যাবার পথে মোটর পাহাড়-জঙ্গলের পথে একে বেঁকে নামতে লাগলো বামিয়াবুরু থেকে । আমরা চলেচি.চলেচি ক্ৰমাগত চড়াই উতরাইয়ের পথে । এক জায়গায় পাহাড়ের নিচে বঁ-দিকের উপত্যকায় বনবিভাগের “রক্ষিত ভূমি’-এর রহস্য হচ্ছে এই যে, এই জায়গাতে প্ৰকৃতিকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে ইচ্ছামত বাড়তে। প্ৰকৃতির উপর কলম চালানো হয় নি। তাই এখানে বড় বড় ৮১০ ফুট পরিধি বিশিষ্ট শালগাছ যথেষ্ট-মোটা মোটা লতায় লতায় জড়ােজড়ি, গাছপালার निहb७ ठूgéछु छअल 6छाछे १ोछ5ाछाव्शिन्न । আমরা পাহাড়ের গায়ে আবার দেখলুম খনিজ লবণের স্তর, বন্য জানােয়ার ছাড়া এ নুণ কেউ ব্যবহার করে না। হরিণ, ভালুক, বাঘ এই তিনটি জন্তু বিশেষ করে। হাতীরা মুণ খাওয়া দরকার বিবেচনা করে না নাকি, কেন তা জানি না। অস্তগামী সূৰ্য্যের রাঙা আলো যখন বঁাঁকাভাবে এসে পড়ে এই খনিজ লবণের স্তরে, শাল অরণ্যে