পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यgन्म-१iश्igफु মিঃ সিংহ বল্লেন-ভীষণ ম্যালেরিয়া মশাই, সারান্দার ভেতরে । -লোক থাকে না ? --হো যারা, তারা ভোগে না, ভোগে বিদেশীরা । সারান্দা ফরেষ্টে পক্ষপাতিত্ব আছে বেশ । -শুধু ম্যালেরিয়া ? --ম্যালেরিয়া আর ব্ল্যাকওয়াটার ফিভার। খাটিয়াশুদ্ধ রোগী পোংসার দিকে বাহিত হয়ে চলে গেল । আমরা আরও কিছুদূর এসে উসুরিয়া নামে একটা পার্বত্য ঝর্ণা বা ক্ষুদ্র নদী পার হলুম। মিঃ সিংহ বল্লেন - অনেকদিন আগে গ্রেগরি বলে একজন এ্যাংলো ইণ্ডিয়ান বাস করতো উসুরিয়া ঝর্ণার ধারে একটা বাংলোতে-আমাকে মাঝে মাঝে চা খাওয়ার নিমন্ত্রণ করতো। তার বাংলোতে। চলুন সে জায়গাটি দেখে আসি। ১৯২৫ সালে গ্রেগরি ওখানে থাকতো । উসুরিয়া পাহাড়ী নদী । খুব শব্দ করে বয়ে যাচ্চে বনের মধ্যে দিয়ে-দুদিকে পাষাণময় উঁচু তীর। শিলাতটে প্ৰতিহত হচ্চে উসুরিয়া ঝর্ণার নিৰ্ম্মল জলধারা। অপরাহ্রের ছায়া পড়ে এসেচে, হলদে রোদ উঠেচে গগনচুম্বী তরুনিকের শীর্ষদেশে । কতক্ষণ নদীর তীরে শিলাসনে বসে রইলুম। উসুরিয়ার কুলুকুলু শব্দ যেন এই বনশ্ৰীর অনন্ত সঙ্গীত । মিঃ সিংহ দেখে এসে বল্লেন-গ্রেগরির বাংলোর চিহ্ন নেই, সেখানে ঘোর বন । --গ্রেগরি কি করতো। এখানে ? -কোম্পানীর করাতের কারখানা ছিল উসুরিয়ার পাড়ে। সাহেব ছিল কারখানার ম্যানেজার। --কারখানা উঠে গেল কেন ? —ঠিক জানিনে। শুধু সাহেবের বাংল্লো নয়, কুলীদের ব্যারাক ছিল, কারখানা ঘর ছিল। দেখচি কিছুরই চিহ্ন নেই। - ১৯২৫ সালের পর এই প্রথম এলেন ১৯৪৩ সালে ?