నిషా বন্দিনী রাজনন্দিনী আমাদিগকে বুঝিতে দিত না। যাহা হউক, তুমি আমাদের অবতরণের একটা উপযুক্ত স্থান ( a landing place ) দেখিয়া রাখ। আমি কুড়ি মাইলের একটা 55 ( a twenty mile circle) soil affo l’ কেলি মিঃ ব্লেকের প্রস্তাবে সম্মতি জ্ঞাপন করিল। মিঃ ব্লেক তখন সেই কৰ্ম্ম্যটিকে কেন্দ্র করিয়া কুড়ি মাইল পরিধিবিশিষ্ট বৃত্তের আকারে গগন-পথে ঘুরিতে লাগিলেন। তখন তাহীদের নিয়দেশে সুবিস্তীর্ণ প্রান্তর ভিন্ন সেই সুবিশাল হৰ্ম্ম্যের চিতুমাত্র লক্ষিত হইল না । মিঃ রেক প্রায় একঘণ্টা কাল এইভাবে ঘুরিয়া ঘুরিয়া নিয়ে অবতরণ করিতে লাগিলেন। বৃত্তের পরিধি ক্রমে সঙ্কীর্ণ হইয়া আসিল ; অবশেষে পূৰ্ব্বোক্ত সৌধ তাহার দৃষ্টিগোচর হইল। তিনি কেলিকে ইঙ্গিতে জানাইলেন, সে অৰতরণের উপযুক্ত স্থান নির্দেশ করিলেই তিনি নামিয়া পড়িবেন। কেলি সৰ্ব্বপ্রথম যে স্থানে মোটর-সাইক্ল দেখিতে পাইয়াছিল, মিঃ ব্লেক সেই স্থানের উদ্ধে উপস্থিত হইলে, সে একটি পরিচ্ছন্ন সমতল ক্ষেত্র দেখিতে পাওয়ায়, তাহাই অবতরণের উপযুক্ত স্থান মনে করিয়া মিঃ রেককে সেই স্থানটি দেখাইয়া দিল । মিঃ ব্লেকেরও বিশ্বাস হইল সেই স্থানে নামিলে কোন অসুবিধা হইবে না। তিনি তখন ধরাতল হইতে পাঁচশত ফিট উদ্ধে ছিলেন ; ক্রমে তিনি ঘুরিয়া ঘুরিয়া নামিতে লাগিলেন। প্রায় পনের মিনিট পরে গ্রে-প্যান্থার সমতল শুামল প্রান্তরে ধীরে ধীরে অবতরণ করিল। মিঃ ব্লেক তাহার শিরস্ত্রাণ (helmet ) খুলিয়া আসনের উপর নিক্ষেপ করিয়া কেলিকে বলিলেন, “ঐ বাড়ীখানা এই স্থান হইতে কিছু দূরে আছে ; এখানে নামিয়া আমরা ভালই করিলাম। ঐ বাড়ীতে যে সকল লোক আছে তাহার বুঝিতে পরিবে-না যে, আমরা এইখানে নামিয়াছি। উদ্ধাকাশ হইতে যখন আমরা নীচের দিকে নামিতেছিলাম, সেই সময় কেহ আমাদের এরোপ্লেন দেখিয়া থাকিলে, সে মনে করিয়াছে—আমরা উদ্ধাকাশ হইতে কিছু নীচে নামিয়া অন্ত কোনও দিকে চলিয়া গিয়াছি । এখনও সন্ধ্যা হয় নাই, এখন কেহ আমাদিগকে এখানে দেখিতে পাইলে হয় ত নানারূপ সন্দেহ করিবে ; হঠাৎ কোন
পাতা:বন্দিনী রাজনন্দিনী.djvu/১০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।