পঞ্চম কল্প సిన যাহা হউক, খানসামাটা স্মিথকে রুদ্ধদ্বারের সম্মুখে নামাইয়া দিয়া সেই দ্বারে করাঘাত করিলে, মুহূৰ্ত্ত পরে একজন লোক সেই কক্ষের ভিতর হইতে মোট গলায় বলিল, “ভিতরে এস।”—তখন ভূত্য দ্বারের হাতল ঘুরাইয়া দ্বার খুলিল, এবং স্মিথকে সেই কক্ষের ভিতরে ঠেলিয়া দিয়া বাহির হইতে দ্বার রুদ্ধ করিল। স্মিথ হল-ঘরের আসবাব-পত্রের শোভা দেথিয়া বিস্মিত হইয়াছিল ; কিন্তু সেই কক্ষের সাজসজ্জা এবং মহামূল্য সৌখীন দ্রব্য সমূহের বৈচিত্র্য ও কারুনৈপুণ্য দেখিয়া তাহার মনে হইল—সে ইউরোপের কোন সম্রাটের পাঠাগারে প্রবেশ করিয়াছে ! মেহগ্নিকাষ্ঠনিৰ্ম্মিত সুবৃহৎ আলমারি-শ্রেণীতে কক্ষটি সজ্জিত ; সেই সকল আলমারিতে মরক্কোবাধা অসংখ্য গ্রন্থ সুরক্ষিত। মেঝের উপর যে কারুখচিত মুদৃত স্থল গালিচা প্রসারিত ছিল—সেরূপ গালিচা স্মিথ পূৰ্ব্বে কোথাও দেখিতে পায় নাই। সেই কক্ষের দ্বার ও বাতায়নসমূহে যে সকল পর্দা প্রসারিত ছিল, সেগুলি কিয়প মূল্যবান তাহাও সে ধারণা করিতে পারিল না। দেওয়ালে কয়েকখানি চিত্র ছিল, সেগুলি ডচ ও ইটালিয়ান চিত্রশিল্পীর অঙ্কিত ; সেই সকল চিত্রের মূল্য সম্বন্ধে তাহার অভিজ্ঞতা না থাকিলেও সেগুলি যে মহামূল্য ও ভুলভ, ইহা সে বুঝিতে পারিল । তাহার মনে হইল সে স্বপ্নঘোরে কোন মায়াপুরীতে প্রবেশ করিয়াছে ; যাহা সে প্রত্যক্ষ করিতেছে—তাহ৷ সত্য নহে, ইন্দ্রজাল মাত্র ! কিন্তু সে একখানি প্রকাণ্ড টেবিলের সম্মুখে উপবিষ্ট একজন দীর্ঘদেহ বলবান প্রৌঢ়কে উপবিষ্ট দেখিবামাত্র বুঝিতে পারিল—ইল ইন্দ্ৰজাল নহে, যাঙ্গ দেখিতেছে সমস্তই সত্য। কারণ সেই প্রৌঢ় ভদ্র লোকটির মুখের দিকে চাহিব|মাত্ৰ—স্মিথ চিনিতে পারিল—তিনি রাজকুমারী নাতালীর পরম হিতৈষী পিতৃব্য—প্রিন্স রাডিশ্লভ ! প্রিন্স রাডিশ্নভের পাশ্বে একখানি উৎকৃষ্ট চেয়ারে একটি যুবক উপবিষ্ট ছিল । তাহার মুখের রঙ্গ অত্যন্ত সাদা ; মাথার চুলগুলি খুব খাটে, তাহার ভিতর চেরাসিথি, সিথির দুই পাশের কেশগুলি কদম্বকেশরের ন্তায় কণ্টকিত ; এক দিকের
পাতা:বন্দিনী রাজনন্দিনী.djvu/১০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।