o R বন্দিনী রাজনন্দিনী لا প্রিন্স রাডিশ্নভ স্মিথকে নিৰ্ব্বাক দেখিয়া বলিলেন, “তোমাকে নীরব দেখিয়া আমার বিশ্বাস হইয়াছে—তুমি আমার সকল কথাই সঙ্গত বলিয়া মানিয়া লইয়াছ ; আর প্রকৃতপক্ষে আমি তোমাকে কোন অসঙ্গত কথাও বলি নাই। তুমি জানিয়াশুনিয়া নিজের ইচ্ছায় এই অন্তায় কাজ করিয়াছ। যে মেয়েটিকে তুমি ওভাবে । আশ্রয় দান করিয়াছিলে—তাহার চপল হৃদয়ের খেয়াল ভিন্ন তাহার পলায়নের ' অন্ত কোনও কারণ ছিল না! কিন্তু তুমি বুদ্ধির দোষে তাহার সেই অসার খেয়ালের সমৰ্থন করিয়াছিলে, তাহার অবাধ্যতায় উৎসাহ প্রদান করিয়াছিলে! তাহার । সামাজিক মান সন্ত্রম অসাধারণ ; তাহার সেই মৰ্য্যাদা কোন কারণে কাহারও দ্বারা ক্ষুন্ন হয়—ইহা কদাচ প্রার্থনীয় নহে। তুমি তাহাকে সাধারণ নারীর স্তায় একটা বাজে হোটেলে পুরিয়া-রাগিয়া অত্যন্ত গৰ্হিত কাজ করিয়াছিলে । আমার বিশ্বাস, তোমাদের দেশের গবর্মেন্টও তোমার এইরূপ নোংরা কাজের সমর্থন করিত না । কোনও দেশের রাজকুমারী তোমার মত একটা অপরিচিত, অজ্ঞাতচরিত্র, ভবঘুরে যুবকের ইচ্ছায় পরিচালিত হইবে—ইহ কেহই সঙ্গত মনে করিবে না । “তুমি তাহাকে কৌশলক্রমে নিজের মুঠায় পুরিয়াই ক্ষান্ত হও নাই। আমি তোমার ধৃষ্টতার পরিচয় পাইয় তাহার অভিভাবকের কৰ্ত্তবা পালন করিতেছিলাম = যেখানে তাহাকে লুকাইয়া রাখিয়াছিলে, সেই স্থান হইতে অবিলম্বে উদ্ধার করিয় তাহাকে বাড়ীতে আনিতেছিলাম ; সেই সময় তুমি আমার কাৰ্য্যে বাধা দানের জন্ত আমার অমুসরণে প্রবৃত্ত হইয়াছিলে ! তোমার এই ধৃষ্টতা কি কেহ সহ্য করিতে পারে? আমার ভ্রাতুষ্পুত্ৰী তোমাকে বুঝাইয়া দিয়াছিল—তাহার অনিচ্ছায় বলপূৰ্ব্বক আমি তাহার বিবাহ দিতে উদ্যত হইয়াছি, এই কার্য্যে তাহার মানসিক সুখ শান্তি নষ্ট হইবে, জীবন ব্যর্থ হইবে --সাংসারিকজান-বিরহিত বালিকার নিকট- এই কথা শুনিয়া তাঙ্গর দুঃখে তোমার শোক-সিন্ধু উথলিয়া উঠিয়াছিল! আমার কার্য্যে,—তাহার বৈধ অভিভাবকের কৰ্ত্তব্যে বাধা দানের জন্ত ক্ষেপিয়া উঠিয়া আমার অনুসরণ করিতেছিলে ; সাধ্য হইলে তাহাকে আমার নিকট হইতে ছিনাইয়া লইতেও কুষ্ঠিত হইতে না ! আমি তাহার পিতৃব্য, কিন্তু তাহার প্রতি তোমার দরদ যেন আমার অপেক্ষাও অধিক –যদি তোমার চেষ্ট সফল
পাতা:বন্দিনী রাজনন্দিনী.djvu/১১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।