পঞ্চম কল্প >a* করিতে চাও ? না, অঙ্গীকার-পাশে আবদ্ধ না হইয়া কাল রাত্রি পর্যন্ত এখানে কয়েদীর ন্তায় আটক থাকিতে চাও ?” স্মিথ কোন কথা না বলিয়া স্তব্ধ ভাবে দাড়াইয়া রহিল। তাহার মুখের ভাব দেখিয়া প্রিন্স রাডিশ্লভ বুঝিতে পারিলেন—সে অবিলম্বে মুক্তিলাভের জন্য সকল কথা গোপন রাথিবীর অঙ্গীকারে আবদ্ধ হইতে সম্মত নহে। সে যে তখনও র্তাহার বন্দী—ইহা তাহাকে বুঝাইবার জন্য র্তাহার আগ্রহ হইল। তিনি তৎক্ষণাৎ বৈদ্যুতিক ঘণ্টায় অঙ্গুলী স্পর্শ করিলেন ; মুহূৰ্ত্ত পরে পূৰ্ব্বোক্ত খানসাম দ্বার ঠেলিয়। সেই কক্ষে প্রবেশ করিল। খানসামা প্রিন্স রাডিশ্লভ ও প্রিন্স বার্কেকে অভিবাদন করিয়া দাড়াইতেই প্রিন্স রাডিশ্নভ কঠোর স্বরে বলিলেন, “এই বন্দীর উভয় হস্ত পূৰ্ব্বের ন্যায় রজুবদ্ধ কর ।” ভূত্য তৎক্ষণাৎ তাহার আদেশ পালন করিল। হস্তদ্বয় রজ্জ্ববদ্ধ হইতে দেখিয়া স্মিথের মুখমণ্ডল আরক্তিম হইল ; কিন্তু এই অপমান সে ধীর ভাবে সহ করিল, ভূত্যের কাৰ্য্যে বাধা দান করিল না। নাতালী তাহার পিতৃব্যের ইঙ্গিতে পূৰ্ব্বেই সেই স্থান ত্যাগ করিয়া সেই কক্ষের অপর প্রান্তস্থ পর্দার অন্তরালে প্রস্থান করিয়াছিল। সে সেই স্থান হইতে স্মিথের প্রতি তাহার পিতৃব্যের এই দুৰ্ব্ব্যবহার প্রত্যক্ষ করিল ; তাহার চক্ষু হইতে মুক্তার স্তায় দুই বিন্দু অশ্রু গড়াইয়া বক্ষে পড়িল । স্মিথের মানসিক অবস্থা তখন অত্যন্ত শোচনীয় ; তাহার প্রতি সেই কাপুরুষের অত্যাচারের কথা তখন সে বিশ্বত হইয়াছিল। নাতালীর কথা শুনিয়া সে স্তম্ভিত হইয়াছিল। যাহার জন্ত সে নিজের জীবন বিপন্ন করিয়াছিল, অবশেষে রজুবদ্ধ হইয়া যেখানে অশেষ অপমান ও লাঞ্ছনা ভোগ করিতেছে, সেই নাতালী সেই স্থানেই আসিয়া বলিয়া গেল—উদ্দেশ্যহীন অসার খেয়ালের বশীভূত হইনা সে গৃহত্যাগ করিয়াছিল; যে সকল দুঃখ কষ্ট ও অন্তর্যাতনার কথা তাহাকে অকপট চিত্তে বলিয়াছিল—তাহা সত্য নহে, তুচ্ছ কৌতুক মাত্ৰ ! পুৰ্ব্ব দিন অপরাহ্লে সে অশ্রুপূর্ণ নেত্রে,ব্যথিত হৃদয়ে স্মিথকে যে মৰ্ম্মভেদী বেদনার কাহিনী বলিয়াতাহার সহানুভূতি
পাতা:বন্দিনী রাজনন্দিনী.djvu/১১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।