প্রথম কল্প ➢ማ চমু। রাজ্যের একদল লোক আমার পিতার পক্ষ সমর্থন করেন ; আর একদল লোক আমার পিতাকে সিংহাসন-চু্যত করিয়া কাকাকেই রাজা করিবার জন্ত ষড়যন্ত্র করেন। এই জন্য রামালিয়া রাজ্যে অন্তবিপ্লবের আশঙ্ক প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল। সেই সময় আমার পিতা কঠিন রোগে আক্রান্ত হইলেন ; তাঙ্গর আর অধিক কাল জীবিত থাকিয় রাজ্যভোগ করিবার আশা নাই বুঝিয়, রাজ্যের নায়কগণ সন্ধি করিয়া অন্তবিপ্লবের আশঙ্কা দূর করিল। সেই সন্ধির সর্বানুসারে স্থির হইল, আমার পিতা যত দিন জীবিত থাকিবেন, তত দিন তাঙ্গর শান্তিভঙ্গ করা গুইবে না, তিনিই সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত থাকিবেন। তাঙ্গর মৃত্যুর পর আমার কণক রাজ-সিংহাসন লাভ করিবেন, এবং আমার কণকণর অবর্তমানে আমিই রামালিয়া রাজ্যের অধিশ্বরী হইব । উভয় পক্ষই আমাকে সিংহাসনের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী বলিয়া স্বীকার করিল। “এই সন্ধি-বন্ধনের পর রাজ্যে শান্তি স্থাপিত হইল। আমার পিতার মৃত্যুর পর আমার কাক যে কয়েক বৎসর রামালিয়া-সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন, তত দিন রাজ্যে কোন অশান্তি লক্ষিত হয় নাই ; কিন্তু ছয়মাস পূৰ্ব্বে আমার কাক হৃদরোগে হঠাৎ প্রাণত্যাগ করিলে, রাজ্যে পুনৰ্ব্বার অশান্তির স্বত্রপাত হইল। রাজ্যের যে সকল নায়ক আমার পিতার বিরুদ্ধে কাকার পক্ষ অবলম্বন করিয়াছিলেন, কাকার মৃত্যুর পর তাহারা আমার দাবী অগ্রাহ করিলেন, মাথা নাড়িয়া বলিলেন, ‘স্ত্রীলোক রামালিয়া রাজ্যের সিংহাসনে বসিবে এ-ও কি একটা কথা ? রামালিয়া রাজ্য কোন কালে নারীর দ্বারা শাসিত হয় নাই, কখন তাহা হইবে না।’ “আমার কাকার একটি পুত্র আছে, তাহার নাম প্রিন্স বার্কে । কণকার দলের লোকগুলি তাহাকেই সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করিতে কৃতসঙ্কল্প হইল ; কিন্তু আমার ছোট কণকা—প্রিন্স রাডিশ্নভ ও রাজ্যের কয়েকজন প্রধান নায়ক—যাহার। আমার পিতার অনুগত ছিলেন, এবং প্রথম হইতে র্ত্যঙ্গরই পক্ষাবলম্বন করিয়াছিলেন–র্তাহার বিরুদ্ধদলের এই সঙ্কল্পে বাধা দান করিলেন ; তাহারা বলিলেন, যে সৰ্ত্তে আমার কাককে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করা হইয়াছিল—সেই সৰ্ব অগ্রাহ করিবার কোন কারণ নাই ; কিন্তু বিরুদ্ধদলের তীব্র প্রতিবাদে আমার ছোট কাকা
পাতা:বন্দিনী রাজনন্দিনী.djvu/২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।